সৌদি প্রবাসী কুমিল্লা বরুড়ার মিজানুর রহমানের মানবিক আবেদন
মোঃ রুস্তম খাঁন, রিয়াদ প্রতিনিধি-(সৌদিআরব)
সৌদি প্রবাসী কুমিল্লা বরুড়ার মিজানুর রহমানের মানবিক আবেদন
গত একবৎসর পূর্বে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার প্রাক্কালে নিজ পরিবারের অভাব-অনটন, দূঃখ-দূর্দষা মূছে সোনার হরিণ ধরার একঝাঁক বুক ভরা আশা নিয়ে এক নিকট আত্মীয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরবের হাফার আল বাতেন শহরে পাড়ি জমান কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি গামায়ুয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ীর আব্দুর রশিদ খন্দকারের ছেলে মিজানুর রহমান(৫২)। পাসপোর্ট নাম্বার -EE 0617443
স্বপ্ন স্বপ্ন-ই রয়ে গেল। করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বের ন্যায় সৌদি আরবেও লক ডাউন ঘোষণা করে। তাঁরি প্রেক্ষাপটে কোম্পানির কাজ চলে যায়। নেই কাজ-কর্ম,নেই বেতন ও খানাপিনা। হয়নি ইকামা। দেশ-বিদেশের দুই কোলে ঘোর অন্ধকার।প্রায় তিন চার মাস অপেক্ষা করে ইকামা ছাড়াই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বেড়িয়ে পরে কোম্পানি ছেড়ে এক অজানা গন্তব্যে। কাজের আশায়। কোন কিছু করা যায় কি না।কিন্তু কপালে খারাবি থাকলে তা কে খন্ডায়। অভাব অনটনে দূশ্চিন্তায় আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পরেন। হয়ে পড়েন কাজ করার অনুপযুক্ত। বাধ্য হয়ে খুব অসুস্থ অবস্থায় রিয়াদের মানফুয়া সিটির ইশারা ছিত্তিনে রমজানের দ্বিতীয় দিনে জেঠাতো ছোট ভাই শাহ আলমের কাছে ছুটে আসেন।
শাহ আলম জানান,যখন মিজান ভাই আমার কাছে আসেন তখন তিন জনে ধরাধরি করে গাড়ী থেকে বাসায় উঠাই। ভালো চিকিৎসা ও সেবার আসায় আমার নিকট ছুটে এসেছেন।
আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। প্রথমে টাইফয়েড হয়েছে। তারপর ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার কথা বলে যা আমার পক্ষে একেবারে অসম্ভব। দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। বিছানায় প্রস্রাব পায়খানা করে। সুজা হয়ে দাড়াবেতো দূরের কথা বসতেও পারছে না। ইকামা নেই যে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো। দেশ থেকে সহযোগিতা করবে এমন পরিস্থিতিও তার পরিবারের নেই।
এই মূহুর্তে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস সহ দেশ-বিদেশের সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই এগিয়ে আসুন আমার ভাইকে বাঁচতে। সুস্থ করে দেশে পাঠাতে। তাঁর দুটো মেয়ে একটি ছেলে রয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, কুমিল্লায় তার পরিবারের অবস্থা ভালো না হওয়ায় আগেই কুমিল্লার ভিটে বাড়ি বিক্রি করে খাগড়াছড়ি জেলার রামগুঞ্জ পাড়ি জমিয়ে ছিলেন।