নাহিদের হাত কেটে ফেলতে হবেনা চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এসপি বিপ্লব কুমার সরকার
বিজয় চন্দ্র সরকারঃ
নাহিদের হাত কেটে ফেলতে হবেনা চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এসপি বিপ্লব কুমার সরকার
“বাচ্চাটির নাম নাহিদ, বয়স ৩ বছর ধান ভানা মেশিনে হাত ঢুকিয়ে দেয়ায় তার একটি হাতের কবজি থেকে আঙ্গুলের মাঝের মাংসটি উঠে গিয়েছে,তর্জনীর ভেইনটি ছিড়ে গিয়েছে এবং কনুই থেকে হারের বিভিন্ন অংশে ফ্রাকচার হয়েছে। ডাক্তার বলেছে, পরিপূর্ণ চিকিৎসা না পেলে তার হাতটি কবজি থেকে কেটে ফেলতে হবে।
বাচ্চাটির বাবা সেলাই এর কাজ করে। খুবই নিম্নবিত্ত পরিবার তাদের। গত দেড় মাস থেকে রংপুর মেডিকেলে অর্থো-সার্জারী বিভাগে ভর্তি আছে বাচ্চাটি। তার বাবা তার সর্বস্ব দিয়ে বাচ্চাটির চিকিৎসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাচ্চাটির চিকিৎসার জন্য আরো ৫০-৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন যেটা তার বাবার পক্ষে ব্যবস্থা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তার বাবা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তার হাতের অপারেশন করতে হবে। অপারেশন এর জন্য কিছু সরঞ্জামাদি কিনতেই প্রায় ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন। টাকার ব্যবস্থা না হলে অপারেশন করা সম্ভব হবে না।”
ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট চোখে পরে রংপুর জেলা পুলিশের অভিভাবক বাংলাদেশ পুলিশের আইডল মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের। তিনি সাথে সাথেই বাচ্চাটির বিষয়ে খোজ নেন ও পোস্টদাতার মাধ্যমে বাচ্চার অভিভাবককে ডাকেন।
আজ বিকেলে বাচ্চার বাবা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসলে পুলিশ সুপার মহোদয় নিজে তার সমস্যার আদ্যোপান্ত শুনেন। শিশুর মতো নির্মল যার মন, শিশুদের মাঝে যিনি খুঁজে পান জীবনের জয়গান, সেই এসপি বিপ্লব কুমার সরকার সব শুনে শিশু নাহিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
খুব দ্রুতই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এসময় এসপি অফিসে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সন্তানের চিকিৎসার জন্য নিজের সব হারিয়ে দিকভ্রান্ত নিঃস্ব বাবা এসপি মহোদয়ের আশ্বাসে যেন আলোর সন্ধান খুঁজে পান। তার আনন্দ অশ্রুতে আপ্লুত হয় পুরো এসপি অফিস। এভাবেই বেচে থাক মানবতা, মানবতার ফেরিওয়ালা।
রংপুর_জেলা_পুলিশ