বেগমগঞ্জে সাংবাদিক পরিবারগুলোর অভাব অনটনে দিন কাটছে।
আনোয়ারুল করিম মানিক,বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী:
দেশের চতুর্থ স্তম্ভ দেশ জাতি সমাজের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার পেশায় জড়িত সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাসের সময় দায়ীত্ব পালন কালে বেগমগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখে কষ্টে দিনাতিপাত করলেও তাদের খোজ খবর নেওয়ার কেউ নেই।
বেগমগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠনের কয়েকজন নেতা বলেন, উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের ৮ লক্ষ লোকের কল্যানে ৬০/৭০ জন পেশাধারী সাংবাদিক দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করে আসছে। বর্তমানে গুপ্তঘাতক মহামারি করোনা ভাইরাস এ উপজেলায় বহু আক্রান্ত ও প্রায় অর্ধশত লোকের প্রাণহানী ঘটানোর সঠিক তত্থ্য প্রকাশ করে। এতে পেশাগত দায়ীত্ব পালনকালে ৩/৪ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করছে তারা এবং আক্রান্তদের আয় রোজগার বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন অভাব অনটনে দিন কাটছে। কিন্তু কেউ তাদেরকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসতে চায়না। অথচ সরকারি-বেসরকারি ভাবে মহল বিশেষ স্বার্থসিদ্বি হাসিলের লক্ষ্যে কতিপয় লোকজন দিয়ে সাহায্য প্রদান করছে এমন কিছু অবাস্তব ছবি তুলে প্রচার করে আসছে। কিন্তু প্রকৃতভাবে সাংবাদিকদের সংঠনের সদস্যরা কিছুই জানে না।
এদিকে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতা কর্মী ও পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তালবাহানার পাশাপাশি আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে থাকে। তবুও বেগমগঞ্জের সাংবাদিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনে থেকে মুখবুঝে অনেক কিছু সহ্য করে তাদের সঠিক দায়ীত্ব পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এতে কোন মহল রক্তচক্ষু ভাব দেখালেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে সাংবাদিকরা মনে করে।