বাঁশখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক রোজিনার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক রোজিনার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন
সাম্প্রতিক সময়ের সারাদেশের চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনার ভূক্তভোগী অনুসন্ধানী নারী সাংবাদিক দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের নি:শর্ত মুক্তি ও হেনস্থাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন থেকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা দেশের সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নি:শর্ত মূক্তি দাবীসহ তাঁর বিরোদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও সড়যন্ত্রমূরক মামলা প্রত্যাহার এবং সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারীদের দ্রূত চহ্ণিত করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়েছে।
১৯ মে’২১ ইং বুধবার দুপুর ২ টার সময় বাঁশখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ গেটের সম্মুখে বাঁশখালী উপজেলা প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাষ।
সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অংশ গ্রহন করেন, বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাকের আহামদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হক রাশেদী, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দুল আলম, অর্থ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম মিরাজ, সহ-অর্থ সম্পাদক মো: দিদারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ এরশাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দীন, সাহিত্য সম্পাদক হায়দার আলী, নির্বাহী সদস্য সরওয়ার আলম চৌধুরী ও মোহাম্মদ শাহেদুল আলম সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদিকবৃন্দ। এসময় সাংবাদিকরা নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বলেন” পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর সচিবালয় বিটের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলামেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একশ্রেনীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে ৬ ঘন্টা আঁটকে রেখে যে অসৌজন্যমূলক আচরন করেছে তা গর্হিত ও নিন্দনীয়।
রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ খ্যাত জাতীর বিবেক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশ আজ উত্তাল, প্রতিবাদের আগুনের দাবানল আজ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বাঁশখালী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অপ্রত্যাশিত অনাকাংখীত ও নিন্দনীয় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দ্রূত দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারের কাঁছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কোন আইনে, কেন অফিসের মধ্যে আটকে রাখা হলো? আটকবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লেও কেন তাকে চিকিৎসা দেয়া হলো না? আমরা যতদূর জেনেছি রোজিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সমুদ্র ডাকাতিসম দূর্ণীতির তথ্যের খবর জানতে সেখানে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে হয়ত: আরো একটি “সাগর-রুনি” নাটক মঞ্চায়িত করার ব্যার্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।