দক্ষিণ কোরিয়ায় সাইকেল দুর্ঘটনায় স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন এ তরুণ রেমিটেন্স যোদ্ধা আরিফ
মনির পাটোয়ারী, দক্ষিণ কোরিয়া থেকেঃ
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাইকেল দুর্ঘটনায় স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন এ তরুণ রেমিটেন্স যোদ্ধা আরিফ
দক্ষিণ কোরিয়াতে আরিফ হোসেন (৩২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি মর্মান্তিক সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন গত ১৬ মে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায়।
তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ভীমপুর গ্রামে। চাটখিল বাজারে ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তাফার ছেলে তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার হোয়াসংসি ফারান এলাকায় একটি ফ্যাক্টরি কাজ করতেন আরিফ হোসেন।
স্হানীয় বাংলাদেশীদের সূত্রে জানা রবিবার সন্ধ্যায় ফ্যাক্টরি থেকে সাইকেল চালিয়ে বাজার করার জন্য একটি দোকানে যান আরিফ। সেখান থেকে ফেরার পথে হাইওয়ে রাস্তার পাশে রক্তমাখা দেহ পড়ে থাকলে স্হানীয় লোকজন পুলিশ কে খবর দেয়।
পুলিশ এসে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ফারআন জুআম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ধারনা করা হচ্ছে গাড়ীর সাথে সাইকেলের সজোরে ধাক্কা লেগে পাশে পিলারের মধ্যে মাথায় আঘাত পায়। ঘটনার স্থলে আরিফের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে আরিফের মরদেহ জুআম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে বিস্তারিত জানা যাবে পরবর্তীতে।
নিহত আরিফ আজ থেকে দেড় বছর আগে নিজের এবং পরিবারের ভাগ্য বদলের আশায় এক বুক স্বপ্ন নিয়ে কোরিয়াতে আসে আরিফ। স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন এ তরুণ রেমিটেন্স যোদ্ধা।
আরিফের অকাল মৃত্যুতে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ও তার পরিবারে মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস আরিফের লাশ দেশে পাঠানোর বিষয়ে তদারকি করছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে আরিফের লাশ জুআম হাসপাতালে মরচুয়ারিতে আছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সকল বাংলাদেশী কমিউনিটি মরহুম আরিফ হোসেন এর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
সেই সাথে দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী ভাই বোনদের সাবধানে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেছেন।