দোয়ারাবাজারে সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতার অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধার খুনী তৈয়ব আলী মাস্টার ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করছে
মোঃ আলা উদ্দিন, দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
দোয়ারাবাজারে সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতার অভিযোগ
মুক্তিযোদ্ধার খুনী তৈয়ব আলী মাস্টার ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করছে
দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নে সম্প্রতি দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা পরবর্তী মানববন্ধন করা নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারে বলে এলাকাজুড়ে এখন জনমনে আতংক বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর তৈয়ব আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বুলবুল মিয়া।
সোমবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা বুলবুল মিয়া বলেন, তৈয়ব আলী ওরফে তৈয়ব আলী মাস্টার আমার আপন চাচা সাবেক ইউপি সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আসমত আলীকে ৮৫ সালে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগ করে এলাকায় এসে আবারও তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি তারই নিকটাত্মীয় রিপন মিয়া একই ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সচেন নাগরিক সমাজ ও রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে পরামর্শের জন্য তৈয়ব আলী মাস্টারের কাছে যান। তিনি ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধমক দেন। এনিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও তৈয়ব আলী মাস্টারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিতে আসলে এতে বাধা দেন আমার ছোট ভাই প্রভাষক আবুবকর সিদ্দিক।
এতে তৈয়ব আলী মাস্টার রামদা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখমী হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তার অস্ত্রধারী আত্মীয় স্বজন আমাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ধর্ষকের পক্ষপাতিত্ব করা তৈয়ব আলী মাস্টার ও তার লাঠিয়াল আত্মীয় স্বজনদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাজমুল হাসান হিমেল, পায়েল হাসান, মশিউর রহমান, ফরহাদ আলম প্রমুখ।