ধামরাইয়ে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বধ্য ভূমিতে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন
রনজিত কুমার পাল (বাবু) ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামরাইয়ে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বধ্য ভূমিতে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন
১৯৭১ সালের ৮ই মে আজকের এইদিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা ঢাকার ধামরাই তৎকালীন ধামরাই সদর (বর্তমান পৌরসভা) এলাকার বিভিন্ন স্হান থেকে ১৯ জন লোককে ধামরাই কালামপুর এলাকায় বধ্য ভূমির বংশী নদীর পাড়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যগন এতে প্রাণ হারান ১৪ জন, ৫ জন লোক আহত অবস্থায় ভাগ্যগুনে বেঁচে যান।
এদের স্মরণে ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বধ্য ভূমি স্হান খুঁজে বের করে ওই স্হানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ব্রাশ ফায়ারে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে ২০১৫ সালে।
স্বাধীনতার ৫০ পর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে ৮ই মে রাতে
ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, শান্তা মরিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ জাকারিয়া দিপু নিজ উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ পরিচ্ছন্ন ও ধৌত করে শহীদদের স্মৃরণে এ’পবিত্র স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালন করে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রদীপ প্রজ্জলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য-আজকের এইদিনে ১৯৭১ সালের ৮ই মে সকাল এগারটার দিকে ধামরাই উত্তরপাতার নেপাল চন্দ্র পাল সহ ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকার আরো ৮০-৯০ জনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে প্রথমে ধামরাই থানায় নিয়ে থানা চত্ত্বরে আটকে রাখে পরবর্তীতে দুপুরের দিকে আটককৃতদের অধিকাংশ লোককে ছেড়ে দিয়ে ১৯ জন লোককে নিয়ে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের বংশী নদীর পাড়ে নিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যগন এতে এ’সময় দীনেশ রায মৌলিক (সাং কায়েতপাড়া), হাবলু রায় মৌলিক (সাং কায়েতপাড়া),বুদ্দু সূত্রধর (সাং রথখোলা),নালু কর্মকার (সাং রথখোলা),পাগল সূত্রধর (সাং বকুলতলা,কায়েতপাড়া),রাধেশ্যাম বণিক (সাং রথখোলা), চিনু বণিক (সাং বড় বাজার), গনেশ পাল (সাং পর্বতবাড়ী), মাধব পাল (সাং কায়েতপাড়া),বিশ্বনাথ পাল বিশা (সাং কায়েতপাড়া) সহ মোট ১৪ জন লোক প্রাণ হারান ভাগ্যক্রমে সাতটি গুলি পায়ে লাগার পরও বেঁচে যান নেপাল চন্দ্র পাল (সাং উত্তরপাতা) ও বাবু লাল পাল (কায়েতপাড়া),জুরান রায় মৌলিক (কায়েতপাড়া), গৌর রাজবংশী (সাং কায়েতপাড়াস্হ মাঝিপাড়া) মোট ৫ জন লোক বেঁচে যান।