পাইকগাছার হরিঢালীতে ভুমিদস্যু কর্তৃক ভুমিহীন সেজে রেকর্ডিও জমি মালিকের জমি জবর দখলের অভিযোগ
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছার হরিঢালীতে ভুমিদস্যু কর্তৃক ভুমিহীন সেজে রেকর্ডিও জমি মালিকের জমি জবর দখলের অভিযোগ
খুলনার পাইকগাছায় ভূমিদস্যু কর্তৃক ভুমিহীন সেজে রেকর্ডীয় এক জমি মালিকের রেকর্ডভুক্ত জমিতে অবৈধ জবর দখল কায়েম, সেকানে পাকাঘর নির্মাণ সহ খুন জখমের হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ভুমিদস্যু তপন তার অবৈধ দখল বজায় রাখতে রেকর্ডীয় জমি মালিক খন্দকার কামরুল গং এর নামে মিথ্যা অভিযোগ ও নানাভাবে হয়রানী করে চলেছে। আর এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের পাররামনাথপুর দরগামহল গ্রামের।
অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের রামনাথপুর মৌজায় এস এ ২৮ খতিয়ানে দাগ নং- ৫৩৯, ৫৪০, ৫৪২ জমির পরিমান ৩০ শতক। উক্ত জায়গা কপোতাক্ষ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। প্রায় ১ দশকে এভাবে আরো অনেক রেকর্ডীয় জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়। সম্প্রতি উক্ত জমির সীমানা বরাবর পাররামনাথপুর মৌজায় নদীর চর ভরাটি মুল জমিটি জেগে ওঠে। এ জমির প্রাপ্যদার হন মুল মালিক কামরুল গং।
এমতাবস্থায় উক্ত জমির উপর নজর পড়ে তপন ও তপনপুত্র মাদক মামলার আসামী বিজনের। সুকৌশলে তপন ও পুত্র বিজন পাররামনাথপুর মৌজায় উক্ত রেকর্ডীয় মালিকানা সম্পত্তিতে ভুমিহীন সেজে জবর দখল করতে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা দরগামহল গ্রামের রেকর্ডীয় মালিক কামরুলের জমিটি দখল করে এবং সকলের অগচরে একটু একটু করে বসত বাড়িতে রুপান্তরিত করে। বিষয়টি কামরুল গং জানতে পেরে এই নিয়ে দফায় দফায় শালিসি মিমাংসা হলে তপন উক্ত জায়গার দখল ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু কৌশল খাটিয়ে জমিটি জবর দখলে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরপর ধুর্ত তপন নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এবং গত ১৮ এপ্রিল পাইকগাছা থানায় মিথ্যা অভিযোগে একটি জিডি করে যার নাং ৯৭৫। এরপর গত ২৮ এপ্রিল দুপক্ষের (সার্ভেয়ার) আমিনের মাধ্যমে জমি মাপজোপ করে এবং জমির অবস্থান নিশ্চিত করে উভয় পক্ষ শালিসি সিদ্ধান্ত সমুহ মেনে নিয়ে সই স্বাক্ষর সম্পাদন করে।
হরিঢালী পুলিশ ফাঁড়িতে এ নিয়ে শালিসি মিমাংসা হয়। কিন্তু এতোকিছুর পরেও তপন তার অবৈধ দখল বজায় রাখতে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক কল্পকাহিনী উপস্থাপন করে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করে জমির মুল মালিক কামরুল গং এর হয়রানী অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কামরুল ও তার পরিবার প্রসাশনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।