জেলার খবর

সেনবাগে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

সেনবাগে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হোসেন (৭০) কে একদল দুষ্কৃতিকারি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে জানা যায়। সে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন যার জিডি নং ৮৭৩,তাং ২৪-৪-২০২১ ইং।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হোসেন নানাবিধ জটিল রোগে ভুগে দীর্ঘদিন ভালভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম বিধায় পূর্ব পুরুষের কবর জেয়ারত,আত্নীয় স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ ও এতিম ছাত্রদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং দাগনভূঁইয়া থানার গৌবিন্দপুরস্থ সম্পত্তি দেখা শোনার জন্য গত শনিবার (২৪ মার্চ ২১ইং) রাজারামপুরস্থ নিজ বাড়ীতে আসেন।

পরের দিন (২৫ মার্চ ২১ইং) তার ভাতিজা সাইফুল ইসলাম সৌরভ (৩২) সহ সেনবাগ থানার রাজারামপুরস্থ সেবারহাট এবতেদায়ী মাদ্রাসার এতিমখানা ও হেফজখানায় স্বাক্ষাৎ করতে যায় এবং তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তার ভাতিজা সৌরভ তার সেবারহাট বাজারস্থ দোকানপাট বিনা পয়সায় লিখে দিতে বলে।তিনি তার ছোট ভাই আবুল খায়েরের সাথে আলাপ আলোচনা করে সেবারহাটস্থ দোকান ও রাজারামপুরস্থ সম্পত্তি কিভাবে নিতে পারে পরামর্শ দিই।

এরপর ভাতিজা সৌরভ মাদ্রাসা হতে নিচে নেমে যায় আর আবুল হোসেন চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে গাড়ীতে উঠতে গেলে সৌরভের মা বলে চলে যাচ্ছে,চলে যাচ্ছে, আটকা,আটকা। এরপর তার ভাগিনা কাজী ফারুক (৪২),কাজী ফরিদ (৪০) উপস্থিত লোকজনের সামনে তার সম্পত্তি আত্নসাতের লক্ষ্যে তার গাড়ির চাবি নিয়ে তাকে রুমে তালা বদ্ধ করে রাখতে বলে এবং তারা অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে করতে বড় একটি লাকড়ি টুকরা নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে।

তার ভাগিনা কাজী ফারুক উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সামনে বলে সে বহু বছর জেল খেটেছে আবুল হোসেনকে হত্যা করে জেল খাটতে তার কোন অসুবিধা হবেনা। এরপর উপস্থিত লোকজন তাকে প্রতিরোধ করে লাঠি নিয়ে পেছনে ঠেলে দেয় এবং আবুল হোসেনের প্রাণ রক্ষা করে চট্টগ্রামে যেতে সহযোগিতা করে।

কাজী ফারুক চিৎকার করতে করতে বলে আবুল হোসেনকে তার চট্টগ্রামস্থ বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে হত্যা করতেও তার কোন সমস্যা হবেনা। এদের প্রাণনাশের হুমকির কারণে বর্তমানে আবুল হোসেনের পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button