চট্টগ্রামে করোনায় এসআইসহ ২ জনের মৃত্যু।
চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পুলিশের ১ এসআই সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত পুলিশ পরিদর্শকের নাম একরাম হোসেন(৪৫), তিনি সীতাকুণ্ড থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
৬ জুন,শনিবার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরের উত্তরবাজার এলাকার বাসায় পুলিশ কর্মকর্তা একরাম হোসেনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দুপুর ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে করোনা উপসর্গ নিয়ে।চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকে সীতাকুণ্ড থানায় উপ-পরিদর্শক একরাম হোসেনের শরীরে জ্বর ছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল। আজ শনিবার সকালে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার কথা ছিল। মূলত নমুনা দিতে যাওয়ার জন্য থানা থেকে ফোন করা হলেই বাসায় তার মৃত্যুর সংবাদ জানা যায়। এদিকে জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুর রব জানিয়েছেন, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি গত ৪ জুন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৪ জন। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বেশি হচ্ছে চট্টগ্রামে। এদিকে নগরীর বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে কিছুক্ষণ পরপরই ভেসে আসছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুর শোক সংবাদ। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অসহায় মানুষ করোনা টেস্ট ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটে বেড়ালেও কাংখিত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছে অনেকেই। অক্সিজেনের জন্য হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে অনেক মুমূর্ষু রোগী। কিন্তু প্রত্যাশিত অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব হচ্ছেনা। গত ১ সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হলেও মৃত্যু পরবর্তি তাদের নমুনা পরিক্ষা নাহওয়ায় করোনাক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের সঠিক হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে না।