দ্বিতীয় লকডাউনের ধাক্কাটা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের গায়েও লেগেছে, এটা সত্য যে পেটের ক্ষুধা ভাইরাস মানেনা!
বিজয় চন্দ্র সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(কিশোরগঞ্জ)
দ্বিতীয় লকডাউনের ধাক্কাটা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের গায়েও লেগেছে, এটা সত্য যে পেটের ক্ষুধা ভাইরাস মানেনা!
লগডাউনে আয় রোজগারের অভাবে ঘরে বসে থাকা আসলে ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত সহ সবার জন্যই কষ্টকর। লকডাউন পালন করা আসলেই সহজ নয়।
জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দ ও সুখময় সময় ছিলো কিন্তু সেই সোনালী দিনগুলো কেঁড়ে নিলো মহামারি করোনা ভাইরাস।
করোনা কালীন সময়ে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য সরকার যে ত্রাণ সামগ্রী ও টাকা নির্ধারণ করেন সেইসব ত্রাণ এবং টাকা সঠিক তালিকা করে তাদের আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং যাঁর যাঁর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তারপর বিতরণ করার দাবি করেছেন কর্মহীন নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষরা।
একটা বাস্তব বিষয় বলতেই হয় এবং সেটা সকলেরই ভেবে দেখা উচিৎ সেটা হলো নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো পারতপক্ষে কারো কাছ থেকে সাহায্যে নিতে চায়না কিন্তু তাদের ভাগ্য খারাপ মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এসে তাদেরকে কর্মহীন করার কারণে বাধ্য হয়েছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আপনি আর লকডাউন আর দিয়েন না।
কারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষগুলো অনেক কষ্ট পায় এরা লজ্জায় আত্মসম্মানের ভয়ে কাউকে মুখ খুলে কিছু বলতেও পারে না, খুধার জালা সয়তেও পারে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যে সাহায্য সহযোগিতা করেন সেসবের কোনকিছুই মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ঠিক মতন পৌছায় না! সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বেশির ভাগ গরীব এবং চেয়ারম্যান মেম্বার ও নেতাদের আত্মীয় স্বজনরা ভাগাভাগি করে নেয়।
যাঁর বাস্তবতা জনগণ অতিথে অনেক দেখেছেন। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা যদি নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে পৌঁছাইতো তাহলে কারো কোন কষ্ট হতো না। অনেকে আইডি কার্ডের ফটো কপি নিয়ে যায় সরকারি এাণ দিবে টাকা দিবে বলে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোকে আশা দিয়ে যায় কিন্তু সেই ত্রাণ আর টাকা কিছুই আসে না! এজন্য নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত এবং গরীব মানুষেরা বলেন আমাদেরকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ধরলে ধরুক তারপরও নাখেয়ে মরতে পারবো না!