করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এবারও পথে পথে কপিলমুনি ফাঁড়ির সেই পুলিশকর্তা করোনাযোদ্ধা সঞ্জয় দাশ
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এবারও পথে পথে কপিলমুনি ফাঁড়ির সেই পুলিশকর্তা করোনাযোদ্ধা সঞ্জয় দাশ
চলছে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, আরোও শক্তিশালী হয়ে করোনা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। তাই করোনা মোকাবেলায় জনসচেনতার জন্য আবারও পথে নেমেছেন করোনাজয়ী পুলিশ কর্তা কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর সঞ্জয় দাশ।
জনসচেতনতার পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে মাক্স বিতারণ সহ সরকারের দিক নির্দেশনার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। সকাল হলেই দেখা মিলছে এই পুলিশ কর্মকর্তার। বিশাল বানিজ্যিক মোকাম কপিলমুনির উপশহরের অলিতে গলিতে তার ক্লান্তিহীন পথচলা যেন নজর কেড়েছে সকলের।
করোনা মোকাবেলায় চির চেনা এই পুলিশ কর্মকর্তা উপশহরের প্রতিটি বানিজ্যিক প্রতিষ্টানে, মিল কারখানায়, এমনকি উপশহর কেন্দ্রিক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থবিধি মেনে চলার আহবান জানাতে দেখাগেছে।
সরকারী নির্দেশনা মানতে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে তার নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপশহরের গুরুত্বপূর্ন ও ব্যাস্ততম জায়গায় কিম্বা রাস্তার উপর ঠায় দাঁড়িয়ে পথচারী থেকে শুরু করে ভ্যানচালক ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের মুখে নিজ হাতে পরিয়ে দিচ্ছেন মাস্ক।
কারো কারো হাতে দিচ্ছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ড্রপ। আর সপ্তাহিক দুটি হাটের বার বেলায় হ্যান্ড মাইক কাঁধে ঝুলিয়ে রাস্থায় হেটে হেটে হাটুরে পথচারি সহ সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে মাইকে ডেকে ডেকে আহবান জানাচ্ছেন তিনি। তার এই দায়িত্বশীল ভূমিকায় কপিলমুনিতে চলছে কঠোর লকডাউন।
জানাগেছে, দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ধাপে করোনা আক্রান্তের ভয়াবহতা থাকলেও জনসচেতনতার কারণে কপিলমুনি উপশহর ও শহরতলী এলাকায় কারো আক্রান্তের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। করোনা মোকাবেলায় ইনসপেক্টর সঞ্জয় দাশের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও কঠিন পরিশ্রমে তিনি সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।
একইভাবে গতবারের করোনার প্রথম ধাপে ঠিক একই ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গতবছর ২৩ জুন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫ জুলাই তিনি সুস্থ হয়ে ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টাইন শেষে প্রিয় কর্মস্থলে ফেরেন তিনি।
গতবার করোনায় আক্রান্ত হলেও এবারও সেই চিরচেনা ভূমিকা পালনে ভীত নন তিনি এমনটি দৃঢ়তার সাথে জানালেন ৫৫ বছর বয়সের এই পুলিশ কর্মকর্তা।