সুবর্ণচরে পাওনা টাকা চাওয়ায় হামলা,আহত-৩
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাওনাদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাওনাদারসহ ৩ জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে নবাব ছোইয়ালের ছেলে মো. জহির আশংকাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অপর আহতরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর মহিউদ্দিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. সোহেল (৩১) অভিযোগ করেন, একই গ্রামের জয়নাল আবেদিন (৪০) সহ ফেনীর সোনাগাজীতে তরমুজ চাষের জন্য ১ বছরের জন্য জমি বন্ধক নেন।
জয়নাল আমাকে ফসল এবং জমির পরিমাপে ঠকাতে থাকে। টাকার হিসেব চাইলে দিতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে সোনাগাজীর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক শালিশী বৈঠকে সে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আমাকে ক্ষতি পূরণ বাবদ ৭ হাজার টাকা দিবে মর্মে রায় ঘোষণা হয়।
তরমুজ বিক্রি শেষে সবাই সুবর্ণচর চলে আসি। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় স্থানীয় বেচুর দোকানে জয়নালকে দেখতে পেয়ে তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে টাকা দিবেনা মর্মে হুমকি ধামকি দেয় এবং খারাপ ভাষায় গালমন্ধ করে।
আমি প্রতিবাদ করলে জয়নাল এবং তার পুত্র রাকিব (২১), পাশ্ববর্তী গ্রামের আবুল কালামের পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৫),ফকির (৩২), জয়নালের পুত্র মিলন, আব্দুল খালেকর পুত্র হাশেম (৩৫) সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের সন্ত্রাসী দল আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করতে আমার ভাই আব্দুল মান্নান,আব্দুর রহিম,শরীফুল ইসলাম ও আমার জেঠাতো ভাই জহির এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। বর্তমানে জহিরের অবস্থা আশংকাজনক।
অভিযুক্ত জয়নালের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলবেননা বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক তরিক খন্দকাররের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।