জেলার খবর

কোম্পানীগঞ্জে ফের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন,সাবেক কাউন্সিলরসহ আটক ৩

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

কোম্পানীগঞ্জে ফের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন,সাবেক কাউন্সিলরসহ আটক ৩

সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার নিয়মিত পুলিশের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, নোয়াখালী ও চট্রগ্রাম থেকে এই অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশের কোন সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আ.লীগ ও মির্জা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো, বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী (৪২), রিয়াদ (১৭), সাগর (১৭)।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার গেইটের সামনে সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুসারী গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা,গুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এক অনুসারী শাহাদাত সিপাতের ফেসবুক লাইভে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

সকালে রামদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে সেখানে বাধা দেয়া হয়।ত্রাণ বিতরণ শেষে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারীরা বসুরহাট বাজারে এসে কাদের মির্জার এক অনুসারী শাহাদাত সিপাতের ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে থানার সামনে গিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।এরপর কাদের মির্জার ছোট শাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে তাদের শতাধিক অনুসারী থানার সামনে এলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে।

তাঁরা হলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে হুমায়ুন রশিদ ওরফে মিরাজ, কাদের মির্জার ছেলে তাসিক মির্জা, যুবলীগ নেতা আরমান চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন, আদনান পাশা ওরফে জয়, মো. সানি, নজরুল ইসলাম ওরফে হিমেল, মো. বাহাদুর, বোরহান উদ্দিন, জিসান ও ওমর ফারুক।

একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে ফখরুল ইসলামের (রাহাতের) বাসায় ককটেল ছুড়ে মারেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা ভবন থেকে কাদের মির্জার অনুসারী সিপাত ফেসবুকে লাইভে বক্তব্যের প্রতিবাদে তারা বসুরহাট বাজারে প্রতিবাদ জানাতে উঠে। একপর্যায়ে মেয়রের অনুসারী ও উপজেলা আ.লীগের কমিটি অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button