দোয়ারাবাজারে রাতের আধাঁরে তিনজনকে কুপিয়ে আহত উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত এক ইউপি সদস্য
মোঃ আলা উদ্দিন, দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
দোয়ারাবাজারে রাতের আধাঁরে তিনজনকে কুপিয়ে আহত
উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে
আহত এক ইউপি সদস্য
দোয়ারাবাজারে রাতের আধাঁরে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখমী হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইউপি সদস্য হবুল হোসেন (৫৫)।
তিনি উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার দিবাগত মধ্যরাতে স্থানীয় বঙ্গবন্ধুবাজারের নিকটে এ রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত
সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মাহমুদ আলী (৪০), হাজী আবদুল জলিলের পুত্র নাজিম উদ্দীন (৪৪), মৃত আবদুল কাদির এর পুত্র আবদুল লতিফ (৫২) রাজনপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বঙ্গবন্ধুবাজারের নিকট আসার পর আগে থেকে ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর আক্রমণ করে এবং দাঁড়ালো অস্ত্র ও রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।
এসময় তাদের সুর-চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন। গ্রামবাসী দাড়ালো অস্ত্র এবং রাম দায়ের কুপে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এসময় ঘটনাস্থলেই শিবপুর গ্রামের মৃত খফর উদ্দিনের পুত্র ইমাদ উদ্দিন ইউপি সদস্য হবুল হোসেনের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং অকথ্য গালিগালাজ শুরু করলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে চলে যায়।
এক পর্যায়ে ইমাদ উদ্দিন ও তার আত্মীয় স্বজনের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে উদ্যোত হলে গ্রামের লোকজন ইউপি সদস্যকে বাঁচাতে ঘিরে ফেলেন। কথা-কাটাকাটির মধ্যে ইমাদ উদ্দিনের আপন ভাই সেলিমউদ্দিন, বিরামউদ্দিন, সাইফুল ইউপি সদস্যের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
এক পর্যায়ে তার উরুতে একাধিক ছুরিকাঘাত করতে থাকলে মুহুর্তেই তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানতে চাইলে দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু জানান, ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, এবিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।