বেনাপোলে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যকে মারপিটে মামলা
বেনাপোলে চেকপোষ্ট দিয়ে চোরাচালানে বাঁধা দেওয়ায় মনির হোসেন নামে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার এক সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এসময় জব্দকৃত মালামালও ছিনিয়ে নেয় চোরাচালানীরা। মারপিটের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপরাধীরা রয়েছে এলাকা ছাড়া।
মঙ্গলবার(১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুই চোরাচালানীকে আসামী করে বেনাপোল পোর্টথানায় এ মামলা দায়ের করেন শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য মনির হোসেন। এর আগে সোমবার বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউজের সামনে মহাসড়কের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী আসামী হলেন, বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জ্জোহার ছেলে ইউছুপ ও দিন মোহাম্মদের ছেলে আজিজ।
আহত শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য মনির হোসেন জানান, গতকাল সোমবার তিনি বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ভবনের দ্বিতীয় তলায় কর্মরত ছিলেন। এসময় বিকাল ৪ টা ২৫ মিনিটে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান সোর্স হিসাবে পরিচিত কয়েকজন চোরাচালানী নিরাপত্তাকর্মীদের যোগসাজোগে ভারত থেকে চোরাচালান পণ্য নিয়ে কোন বাঁধা ছাড়ায় দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।
এসময় তিনি অফিস থেকে বের হয়ে চোরাচালানিদের গতিরোধ করলে আজিজ ও ইউছুফ নামে চিহ্নিত দুই চোরাচালানী তাকে মারধোর করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাথেই অবহিত করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, চোরাচালানে বাঁধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধী সনাক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক(এএসআই) আতিয়ার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাস্টমস শুল্কগোয়েন্দা সদস্য মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে চোরাচালানীরা পাচার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে এসব চোরাচালানের সাথে নিরাপত্তাকর্মীদের সখ্যতা রয়েছে। বারবার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হলেও রহস্য জনক কারনে কর্তৃপক্ষকে উদাসিন থাকতে দেখা যায়। যা সচেতন মহলে নানান বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।
এদিকে কাস্টমসের ভিডিও ফুটেজে চোরাচালানের একটি ভিডিও স্পষ্ট হয়েছে। ভিডিওতে চোরাচালানের দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে। স্থানীয় একটি মহল চোরাচালানীদের বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন মহল ইতিমধ্যে দেনদরবার শুরু করেছেন। এ মহলটি চোরাচালানীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকে বলে জানা গেছে।