সেনবাগে নিখোঁজ হওয়া শিশু আশ্রাফুলের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সেনবাগে নিখোঁজ হওয়া শিশু আশ্রাফুলের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নজপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ৪দিন পর মো. মিজানুর রহমান আশ্রাফুল (৬) নামের এক শিশুর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।পুলিশের ধারণা হত্যার পর কেউ আশ্রাফুলের লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে গেছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নজরপুর গ্রামের তেলি পুকুর এলাকার বাঁশ বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত মো. মিজানুর রহমান আশ্রাফুল উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামের মীর বাড়ীর আবুল কাশেম মীরের ছেলে। সে স্থানীয় গাজীরহাট সানরাইজ একাডেমির প্লে শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মা বিবি হাজরার প্রথম বিবাহ হয় নিজ বাড়ির আলা উদ্দিন এর সাথে, সে সংসারে তার একটি পুত্র সন্তানও আছে।সেখানে বনিবনা না হওয়ায় আলাউদ্দিনের সাথে হাজরার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে উপজেলার ৩নং ইউপির বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাশেম মীরের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ হয় এবং সে সংসারে তার ২টি সন্তান জন্ম হয়।এরপর থেকে হাজরার সাথে পূর্বের স্বামীর মনোমালিন্য ও রেশারেশী চলে আসছিলো।
গত কয়েকদিন আগে মা বিবি হাজরার সাথে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আশ্রাফুল।
এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পায়নি।পরে শিশুরটি পিতা আবুল কাশেম মীর ঐদিন রাতে সেনবাগ থানায় একটি হারানো জিডি করেন।
এছাড়া দুই-তিনদিন শিশুটির সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করা হয়।সোমবার(৫ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় কৃষক আবদুল হালিম মিয়া তার জমিনে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে খালপাড়ের বাঁশ বাগান থেকে পঁচা গন্ধ ও মাছি উড়তে দেখে সামনে এগিয়ে গিয়ে অধেক মাটিতে পুঁতে রাখা শিশুটির লাশ দেখতে পান।
এরপর তিনি স্থানীয় গ্রাম পুলিশ,জমির মালিক ও এলাকার কয়েকজনকে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান,পরে গ্রাম পুলিশ নুরনবী বিষয়টি থানায় জানালে ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে আশ্রাফুলের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের বাবা গত শুক্রবার রাতে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।