সোনার গাঁও হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখা মানহানি ঘটনায় থানায় অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সোনার গাঁও হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখা মানহানি ঘটনায় থানায় অভিযোগ
গতকাল শনিবার বিকেলে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে মামুনুর হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় সারা দেশে হৈ চৈ পরে যায়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ রনির বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা ১০ আসনের হেফাজত নেতা মুফতি ফয়সাল মাহমুদ বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পত্রটি আজ রবিবার দুপুরে সোনারগাঁ থানাও ওসি রফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁয়ের হেফাজত নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন ও মাওলানা ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
নিম্মে অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হলো: অভিযােগ প্রসলে যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে ,আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী , পিতা- মােঃ গােলজার মিয়া, সাং- বাবুর কাইচাইল, পােঃ বাবুর কাইচাইল, উপজেলা- নগরকান্দা , জেলা- ফরিদপুর অত্র থানায় উপস্থিত হইয়া এই মর্মে অভিযােগ করিতেছি যে হেফাজতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মাওলানা মামুনুল হক গত ০৩ / ০৪ / ২০২১ ইং তারিখে সােনারগাঁও রয়েল রির্সোর্টে বিশ্রামের জন্য সস্ত্রীক হােটেলে অবস্থান গ্রহণ করেন।
তিনি হােটেলের সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন মেনে অবস্থান করছিলেন কিন্তু হােটেল মালিক সাইদুর রহমান এর ম্যানেজার ও কর্মচারীবৃন্দ আল্লামা মামুনুল হক এর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন এবং এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী সােনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মােঃ রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ – সভাপতি হাজী শাহ মােঃ সােহাগ রনির নেতৃত্বে কতিপয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লামা মামুনুল হক এর উপর হামলা চালায়।
তাহার জামার কলার ছিড়ে ফেলে, দাড়ি মুবারক ধরে টান দেয় এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাহা গাড়ির চাবি ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
অতএব মহােদয় সমীপে আকুল আবেদন এই যে, উপরােক্ত বিষয়ে প্রয়ােজন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মহােদয়ের যেন আজ্ঞা হয়।