কোভিড-১৯ মহামারীর ২য় ধাপ মোকাবেলায় ধামরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে জনগনের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারনা ও মাস্ক বিতরণ
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
কোভিড-১৯ মহামারীর ২য় ধাপ মোকাবেলায় ধামরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে জনগনের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারনা ও মাস্ক বিতরণ
ধামরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত। “মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ” স্লোগানকে সামনে রেখে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সচেতনামূলক স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে ধামরাই থানা পুলিশ।
বৈশ্বিক মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব এর শুরু থেকে ঢাকার ধামরাই থানা পুলিশের ব্যাপক ভূমিকা ধামরাইবাসীকে করোনার সংক্রমণ রোধ ও এড়াতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছে।
করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতন, অনুপ্রাণিত, মাস্ক পরতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করতে ‘মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আবারো মাঠপর্যায়ে তৎপরতা শুরু করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
রোববার (২১শে মার্চ) করোনা কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ও জনসচেতনতায় বাংলাদেশ পুলিশ ধামরাই থানার উদ্যোগে ধামরাই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে থানা এলাকা,ধামরাই বাজার, ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পথচারীদের জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ মাস্ক পরিধানে উদ্বুদ্ধ করে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ’সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের সাভার সার্কেল এর অতিরিক্ত এসপি মোঃ শাহিদুল ইসলাম।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ নয়ন মিয়া সহ ধামরাই থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ধামরাই থানা পুলিশ পৌর এলাকায় দোকানদার,রিক্সা চালক,ক্রেতা, বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ, ও পথচারীদের জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাস্ক পরিধানে উদ্বুদ্ধ করে মাস্ক বিতরন নিজ হাতে মাস্ক পরিধান করে দেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কামাল হোসেন,পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ নয়ন মিয়া সহ ধামরাই থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।
এ’কার্যক্রম উদ্বোধন কালে সাভার সার্কেল এর এসপি মোঃ শাহিদুল ইসলাম বলেন-করোনার প্রকোপের কারনে সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মাস্ক বিতরন করছি। সেই সাথে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দৈনন্দিন কাজ করতে আহবান করছি।
আমরা মাঠে আছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। যারা মাস্ক পরছে না,সবাইকে অনুরোধ করে বলছি আপনারা মাস্ক পরেন, নিজে ভাল থাকেন, আপনার পরিবারকে ভালো রাখেন। আমরা মাস্ক বিতরনের মাধ্যমে এই ম্যাসেজটা দিচ্ছি, যে সচেতনতাই পারে একমাত্র মহামারি করোনা থেকে নিজেকে বাচাঁতে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। আমরা মূলত জণগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করছি। অনেকেই যারা রাস্তায় মাস্ক ছাড়া চলাচল করছেন, তাদেরকে মাস্ক বিতরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাঠপর্যায়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক ও জীবনধারা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মাঠে কাজ করছেন।
মানুষকে মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এ সময় পথচারীরা পুলিশের এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন মাস্ক পরার অভ্যাসটা অনেকটা কমে গেছে। পুলিশ যদি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমবে।
করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই পুলিশ জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।