জেলার খবর

রূপগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন একুশ বছর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে পারি নাই : মাননীয় মন্ত্রী গাজী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

রূপগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন একুশ বছর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে পারি নাই : মাননীয় মন্ত্রী গাজী

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।

৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ।

পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন। পাকিস্তানের শাসক গৌষ্ঠী যাতে বঙ্গবন্ধুকে বিদ্রোহী বলতে না পারে বঙ্গবন্ধু সেই ভাবে কৌশলে বাঙালিদের মুক্তির বার্তা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, একটি জাতিকে কিভাবে জাগ্রত করতে হবে তা বঙ্গবন্ধু ভালো করেই জানতেন। মিয়ানমার, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাকসহ সারা বিশ্বে আজ যে জাতিগত শোষণ, হত্যা, নিপীড়ন শুরু হয়েছে গেছে তা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুসরণ করলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

রবিবার (৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের রেকর্ড ধবংস করার জন্য নানা ষড়ষন্ত্র হয়েছে। একুশ বছর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে পারি নাই। বিএনপি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো শুনলেই হামলা -মামলা করেছে। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেয় নাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপি জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুলে মামলা- হামলা করেছে।

ছিয়ানব্বই সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপ্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে । কৃষি ,শিক্ষা ,চিকিৎসা ,তথ্যপ্রযুক্তি খাত,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণ অর্জন করছে।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হয়েছে। রূপগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ , রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব তাবিবুল কাদির তমাল, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button