১০ হাজার টাকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, তথ্যটি সত্য নয়
মহামারি করোনার কারণে গত কয়েক মাস বন্ধ আছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এ কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ভিড় জমান।
শনিবার (০৬ মার্চ) কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও ঠাকুরগাঁও শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ গুজব ছড়িয়ে পড়লে শহরগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়।
করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়া হবে। শনিবার এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে কুড়িগ্রাম শহরে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে ভিড় জমান শহরের ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির বরাত দিয়ে কুড়িগ্রামের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা জানান, চলতি বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। যে সব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার তারাই এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এই আবেদনের শেষ সময় ৭ মার্চ। তবে এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা না।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে শুনে তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে অনলাইন আবেদনের জন্য ভিড় করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই ভাতা পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়ন নিতে গেলে তাদের কাছ থেকে ৫০-২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা শুনে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে করোনার কোনো অনুদানের কাছে চিঠি আসেনি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলে তার মনে হয়।
এদিকে, ১০ হাজার টাকা দেওয়ার গুজবে শনিবার জামালপুর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভিড় করেন হাজার শিক্ষার্থীরা। গুজব থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়নের মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। এতে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।