জাতীয়

করোনায় চট্টগ্রামে প্রান হারালেন ৭৮ জন: করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে একইদিনে ৪ জনের মৃত্যু।

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে-ঃ

করোনায় চট্টগ্রামে প্রান হারালেন ৭৮ জন: করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে একইদিনে ৪ জনের মৃত্যু।

চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১ জুন সোমবার একই দিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পুলিশ কনেস্টেবল মামুন উদ্দিন (২৮), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আয়া হাসিনা বেগম (৬০), জালালাবাদ ওয়ার্ড অফিসের হোমিও চিকিৎসক মন্টু কুমার শীল (৬০) এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রাম নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তীর পিতা আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ (৭৯)।

১ জুন সোমবার এ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করলেন ৭৮ জন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সিএমপির পুলিশ সদস্য মামুন উদ্দিন (২৮)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) আরও এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কনস্টেবল মামুন সিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর মামুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা।”

কনস্টেবল মামুনের মৃতদেহ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর পরশুরামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিএমপির এক কমর্কর্তা জানান, জ্বর সর্দি হওয়ায় কনস্টেবল মামুনকে ২৬ মে থেকে সিএমপি স্কুলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ২৯ মে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে রাখা হয়। সেখান থেকে সোমবার সকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সোমবার পর্যন্ত সিএমপির ১৬৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, ৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারী। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক আয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম জানান, সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই পরিচ্ছন্ন কর্মীর (আয়া) মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই নারী আগের দিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। সকাল ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাছাড়া মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাষকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানান তিনি।

একই সময়ে নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মন্টু কুমার শীল (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে।

কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৮টার সময় তার ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক হোমিও চিকিৎসক মারা গেছেন। ওই চিকিৎসক জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।

সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল রোগী দেখেছিলেন তিনি। গত ৩১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। রিপোর্ট আসার আগেই আজ সকালে নগরীর বাকলিয়াস্থ তার নিজ বাসায় মারা যান তিনি।

এছাড়া শরীরে করোনাভাইরাস নিয়ে মারা গেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর বাবা আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button