ভাষা শহিদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন বাংগালী জাতির
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা এক মিনিট নির্দেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।
প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে করোনা মহামারির কারণে শহিদ মিনারে স্বশরীরে থাকতে পারেননি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। তাদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তাদের সামরিক সচিবেরা।
শুরুতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।
৬৯ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকার রাজপথ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি শাসন শোষণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে নেমেছিল ছাত্রজনতা। গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকে। তাদের এ ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলা ভাষার মর্যাদা।
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ২১ ফেব্রুয়ারিকে। গোটা বিশ্ব এদিন ভাষা শহিদদের স্মরণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ তিন বাহিনীর প্রধানেরাও আসেন ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ভাষা শহিদদের স্মরণ করেন মুক্তিযোদ্ধারাও।
শ্রদ্ধা নিবেদনের মিছিলে শামিল হন ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রধান ও কর্মকর্তারা।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে শহিদ মিনার এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। নেয়া হয়েছে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অতিমারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষ। অন্য বছরগুলোর তুলনায় প্রথম প্রহরে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম।
তারপরও রাত ১০টার পর থেকে শহিদ মিনার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন অনেক মানুষ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জনকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ দিয়েছে আয়োজকরা। আর ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে দুই জনের বেশি শহিদ বেদিতে ফুল দিতে পারছেন না এবার।