সাংবাদিক নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি মূলক
মিশুক চন্দ্র ভুইয়া, জেলা প্রতিনিধি-(পটুয়াখালী)
সাংবাদিক নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি মূলক
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন, শাহাবুদ্দিন সাংবাদিক নামে মিথ্যা মূলক মামলা। মোঃ শাহাবুদ্দিন(২৮) ও তার পিতা মোঃ এমদাদুল হক মৃধা(৫৫) এর বিরুদ্ধে একই এলাকার মৃত্যু মোতালেব সুফির পুত্র মোঃ বাহাউদ্দিন (৪২)গত ১৭/০১/২১ ইং তারিখে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি সিআর মামলা দায়ের করেন।
যাহার মামলা নং -৭৫/২১ উক্ত মামলায় ৩৪২/৩২৩/৩২৭/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি ধারা সমূহ উল্লেখ করে একটি অসত্য বানোয়াট মিথ্যা হয়রানিমূলক অভিযোগ আদালতে দাখিল করে।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বাহাউদ্দিন কে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে আটক রাখিয়া মারধর করা এবং ৩৫০০০ টাকার রবিশস্যের ক্ষতিসাধন ও এক ভরি ওজনের ৭০ হাজার টাকার মূল্যের একটি গলার স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করা সহ বাহাউদ্দীনের সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মোসাঃ জাহেদা বেগমকে হত্যা করার চেষ্টা সহ তাহার গর্ভের সন্তান নষ্ট করিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে তলপেটে লাথি মারিয়া গুরুতর জখম করে।
এবং উক্ত আঘাতের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হইয়া থাকে। আসামি গনের হাতে থাকা লোহার রড বাঁশের লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়িভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। বাহাউদ্দিন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আলট্রাসনো করার জন্য বলে।আলট্রাসনো রিপোর্টে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের অবস্থা ভালো। সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। অসত্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফাতেমা-তুজ-জোহরা বৃষ্টিকে ৭ দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
তিনি গত ১০/০২/২১ ইং তারিখে আদালতে একটি মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল করেন। আদালত গত ১১/০২/২১ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির দিন ধার্য করে। মহামান্য আদালত ডাক্তারের মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বাদীর উল্লিখিত বিষয়ের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।তাই মহামান্য আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন এবং একই সাথে মিথ্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ২১১ ধারায় মামলা রুজু করার আদেশ দিয়েছেন। মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী বাহাউদ্দীনের স্ত্রী জাহেদা বেগমের শরীরে বহিরাগত কোন সমস্যা নেই। এবং শরীরের অন্যত্রে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তার গর্ভে ধারণের বয়স ২৭ সপ্তাহ হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ তার গর্ভে সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, মামলার বাদী বাহাউদ্দিনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের সাথে কোন মারামারি বা বিশৃংখল ঘটনা ঘটে নাই। বাহাউদ্দীনের বড় ভাই মোঃ নুর আলম বলেন, আমার স্ত্রী দিয়েও নারী নির্যাতনের মামলা দেয়াতে চেয়েছিল।
আমি তাতে রাজি হই নাই। মামলার ঘটনা ১১/০১/২১ তারিখ সোমবার আমরা এধরণের কোন ঘটনা দেখি নাই ও শুনিয় নাই। বাহাউদ্দীনের প্রতিবেশী মোঃগোলাম মোস্তফা হাং, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৃধা, আবুল বাশার, ও মামলার মানিত সাক্ষী আব্দুল জলিল, মোঃ বাইজিদ গংদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা এ ঘটনা দেখি নাই এবং শুনিও নাই।
শাহাবুদ্দিনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় বাহাউদ্দীনের স্ত্রী দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে জেল হাজত খাটাইবার করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সংবাদকর্মী গন মুঠোফোনে মামলার বাদী বাহাউদ্দীনের নিকট মামলা খারিজের বিষয় জানতে চাইলে কোন কিছু না বলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী এডভোকেট নুরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কিছু বলতে রাজি হননি। এ ঘটনার ব্যাপারে সংবাদকর্মী গন মুঠোফোনে মামলার বিবাদী মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজত খাটার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধেমিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা টি মহামান্য আদালত খারিজ করে দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি । তাই মিডিয়ার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।