প্রজাতন্ত্রের কোনো ব্যক্তি অনিয়ম-দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয়, কাদের।
প্রজাতন্ত্রের কোনো ব্যক্তি অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আছে। নির্বাচন কমিশন চাপমুক্ত থেকে নিজস্ব আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দাবি অযৌক্তিক। এমন দাবি করার মানে রাষ্ট্রের অভিভাবক, সংবিধানের রক্ষক রাষ্ট্রপতিকে বিব্রত করা।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যারা মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কারণে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের এ অভিযোগ নির্বাচন নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতায় প্রমাণ করে না। কোনো অভিযোগ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে থাকতেই পারে। ব্যক্তি বিশেষ অনিয়ম করলে দুদক তদন্ত করতে পারে, কিন্তু এ নিয়ে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে দায়ী করা অপ্রত্যাশিত ও অযৌক্তিক।
চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কঠোর।
অনেক স্থানে বিদ্রোহীরা সরে দাঁড়ালেও কোথাও কোথাও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনবিষয়ক দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তা দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন বলে ধরে নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন, ভবিষ্যতে বিভিন্নভাবে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। আর যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, তারা ভবিষ্যতে মনোনয়ন তো পাবেনই না, উপরন্তু দলের কোনো সম্মানজনক পদও পাবেন না। ওবায়দুল কাদের দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।