মাইন উদ্দিন আহমেদ-এর কবিতা।
এটা কী হলো!
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো হয়ে উঠছে যেনো ক্রমশঃ অচেনা
আপন পাগুলো মনে হয় শ্রেফ অন্য মানুষের ঠ্যাং
চেহারাটাও হয়ে যাচ্ছে ঠিক অজানা লোকের মতো
যাকে এতোদিন দেখলাম তার সাথে যেনো মেলেনা!
যার সীমাবদ্ধতা করেছি ক্ষমা সে আমায় সীমা দেখায়
স্নেহ মায়ামমতা উল্টো রকম এক কাহিনী লেখায়
রোমান্সের আধার ছিলো নাকি আমার ভুল ধারনা
পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে আমি নাকি চলতে পারিনা।
পাঁচ ওয়াক্ত দোয়া করেছি যারে সে বলে আমি বোকা
দুর্বলতার সুযোগে সদা শুধু দিয়েছে আমায় ধোকা
ভুল করে করে সব পন্ড করে আমারেই বলে তুমি ভুল
অথচ দেখি ওরা খায় হাবুডুবু যেথা সাগর অকূল।
কোমলতা না দেখিয়ে আমার হওয়া উচিত ছিলো শক্ত
পিতার উপদেশে ভালো থাকতে গিয়ে হলাম সবার ভক্ত
এখন সবাই বলে তোমার জন্যই আমাদের সব সর্বনাশ
আমি দিলাম দাঁড়ানোর লাঠি আর ওরা দিলো বাঁশ!
একরকম পালিয়েই কাটিয়েছি বোকাসোকা এ জীবন
কারো কোন ক্ষতি করার কথা ভাবিনি জীবনে কখনো
কিন্তু এখন এই পড়ন্ত বয়সে দেখি একি সব লক্ষণ,
আমাকে কুরেকুরে খাচ্ছে অমানুষের প্রতারণা সর্বক্ষণ!