জেলার খবর

সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে গলাচিপায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

মশিউর রহমান, পটুয়াখালী থেকে-ঃ

সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে
গলাচিপায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণীর ছাত্রী

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বরযাত্রী আসার আগেই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়ে যায়। গলাচিপা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো চিকনিকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের্র চিকনিকান্দি গ্রামের লামিয়া আক্তার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বশির গাজীর মেয়ে ও চিকনিকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী লামিয়া আক্তার (১৪) সাথে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের এক ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বরযাত্রী আসার আগেই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের কেস ওয়ার্কার মিসেস সালমা ও সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের সোস্যাল মোবিলাইজেশন অফিসার মো. হাসান মাহমুদকে এলাকাবাসী মুঠোফোনে জানালে সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নিয়ে গলাচিপা থানাকে সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। গলাচিপা থানার এসআই মান্নান ও সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তারের বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন। এ বিষয়ে এসআই মান্নান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯ম শ্রেনির ছাত্রী লামিয়া আক্তারের বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের কেস ওয়ার্কার সালমা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমাকে ফোন দেওয়ায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তারের বিবাহ বন্ধ করেছি। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এরকম বাল্য বিবাহ যদি কেউ দিতে চায় আপনারা সুশীলনের আস্থা প্রকল্পে আমাদেরকে জানাবেন ও ১০৯ কল দিবেন। আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আইগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের সোস্যাল মোবিলাইজেশন অফিসার মো. হাসান মাহমুদ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাল্য বিবাহ রোধ করি, সুস্থ সবল জাতি গড়ি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে আপনারা কেহ বাল্য বিবাহ দিবেন না। কেননা প্রশাসনের তরফ থেকে আপনাদের জেল জরিমানা হতে পারে। আমাদের সুশীলনের আস্থা প্রকল্পের কেস ওয়ার্কাররা মাঠে সচেতন আছেন। এ ব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম ৯ম শ্রেনির ছাত্রী লামিয়া আক্তারের বিবাহ বন্ধ হওয়ায় সুশীলনের আস্থা প্রকল্প ও থানা পুলিশকে এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button