ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির মামলা করায় গর্ভবতীর নারীর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির মামলা করায় গর্ভবতীর নারীর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির মামলা করায় গর্ভবতী নারীর স্বামী ও মো. আবদুর রহিমের ছোট ছেলে মো. সোহেল মিয়াকে (৩০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর থানার সুলতানপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাথৈরহাতা গ্রামে।
জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টার সময় কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের উরশীউড়া জেলখানার উত্তর পাশে একদল সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আক্রমণ করে তাকে বিষ প্রয়োগ করে তার বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। স্বজনরা তার চিৎকারে বেরিয়ে এলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রোগীর স্বজনেরা তাকে ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসা দেয়ার পরের দিন ৯জানুয়ারি শনিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত মোঃ সোহেলের গর্ভবতী স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, আমি ছয় মাসের গর্ভবতী, আমার এক বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। রমজান আমাদের বাড়ির দেয়াল ভাংচুর করে পরে সে নিজেই আমাদের পরিবারের সকলের নামে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ আইনে ১৪৪/১৪৭ ও সাতধারা মামলা করেন
পরে সে গত ৬ জানুয়ারি রাতে সঙ্গবদ্য ভাবে আমার বাড়িতে ডাকাতি করে রমজান খাঁ, রহমত খাঁ, লতিফ খাঁ, জাহাঙ্গীর খাঁ, শাকিল খাঁ, জহির মীরসহ ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল।
আমার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা করেন মামলা নং ২২/২০২১ইং এই ডাকাতি মামলা করার পরের দিন আমার স্বামী ভাদুঘর তার বোনের বাড়ি থেকে আসার সময় উরশীউড়া জেলখানার উত্তরে আশা এনজিও অফিসের সামনে উল্লেখিত ব্যক্তিরা জোরপুর্বক মামলার কাগজপত্র টাকা পয়সা রেখে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
নিহতের বাবা মো. আবদুর রহিম জানান, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে, ছেলেটি ছোট। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, আমার ছেলে মৃত্যুর পূর্বে তার হত্যাকারীদের নাম বলে গেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নজির মিয়া গঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ির রাস্তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমরা গ্রামবাসী বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষকে মানিয়েছি। কিন্তু মিমাংসা হওয়ার পূর্বেই অপর পক্ষ ডাকাতি করে এবং ডাকাতির মামলা করায় তারা তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহিম জানান, আমরা বিষয়টি জানি। মরদেহ ঢাকায় ময়না তদন্ত করা হয়েছে। আমরা এখনো মরদেহের সুরতহাল হাতে পাইনি এবং এখনো মামলা হয়নি, মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ডাকাতি মামলার আসামীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।