নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সরকারি চাল জব্দ, ক্রেতাকে অর্থদণ্ড।
মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সরকারি চাল জব্দ, ক্রেতাকে অর্থদণ্ড।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা দামের চালসহ বিদ্মদার নামের এক ক্রেতাকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে অর্থদণ্ড ও মোট ৫৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে ডিলার হাবিব উল্যা বাহার।বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ডিলার হাবিব উল্যা বাহার সুবিধা ভোগীদের কাছে বিক্রি না করে ৪৮০ কেজি চাল বিদ্যুৎ মজুমদার নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। ওই ক্রেতা চালগুলো অটোরিকশা যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্তার মিয়ারহাট উত্তর গলিতে স্থানীয় লোকজন আটক করে।পরে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৮ বস্তায় ৪৮০ কেজি চাল জব্দ করে। একই সাথে আক্তার মিয়ারহাট কাচা বাজারে ডিলারের দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও ৬০ কেজি চাল ও ২৫টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। পরে আটককৃত ক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডিলার হাবিব উল্যা বাহার পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সুবর্ণচর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তা মনি তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোট ৫৪০ কেজি চাল ও ২৫টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিলার হাবিব উল্যা বাহার সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা দামের ৪৮০ কেজি চাল সরকারি বস্তা থেকে বের করে নতুন ৮টি বস্তায় ঢুকিয়ে বিদ্যুতের কাছে বিক্রি করে দেয়। অভিযানের খবর পেয়ে বাহার পালিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তা মনি তালুকদার বাদী হয়ে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন।