গাজীপুরের কাপাশিয়ায় ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা।
গাজীপুর জেলার কাপাশিয়ায় উপজেলায় পরিবেশ অধিদফতর এর ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা। সরেজমিনে দেখা যায় অনেক ইটভাটা গ্রাম হাটবাজার বাড়ীঘর ও স্কুল কলেজের কাছেই স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব ইটভাটা গুলোতে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান ইটভাটার ধোঁয়া ও ধুলায় বিভিন্ন ফলজগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এছাড়া কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে ক্ষতিসাধণ হচ্ছে। ২০১৩ সনের সংশোধিত ইটভাটা আইন অনুযায়ী বসতবাড়ী স্কুল কলেজে হাটবাজার থেকে একহাজার মিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।অথচ বছরের পর বছর আইন অমান্য করে এই ইটভাটা গুলোতে বহাল তবিয়তে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান সমিতির আওতায় ৪৭ টি ইটভাটা ছিলো কয়েকটি বন্ধ হওয়া বর্তমানে ৩২ টি ইটভাটা চালু রয়েছে, যার বেশির ভাগেরই নেই পরিবেশ অধিদফতর এর ছাড়পত্র।তিনি আরো জানান ইটভাটা স্থাপন করে মালিকরা ব্যাংক লোন নিয়ে ও দাদন দিয়ে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর পরামর্শ অনুযায়ী ড্রাম চিম্নি থেকে বড় চিম্নি তৈরি করা হয়েছ এরপর আবার ঝিকজ্যাক করা হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে অনেক বৈধ ভাটা অবৈধ হয়ে গেছে।তিনি আরো জানান ইটভাটা রক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট করেও কোন লাভ হয়নি।
উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কিভাবে ইটভাট চলছে জানতে চাইলে তিনি জানান পরিবেশ অধিদফতর এর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এতোদিন চালানো সম্ভব হয়েছিলো।
এবিষয়ে কাপাশিয়া ব্রিকস ফিল্ডস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃমোশারফ হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বর্তমানে ২৬ টি ইটভাটা চালু রয়েছে দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর কোন অনুমোদন নেই। ২০১৩ সালের সংশোধিত ইটভাটা আইন অনুযায়ী অনেক ভাটা অবৈধ হয়ে গেছে।
বর্তমানে ভাটা মালিকরা বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।পরিবেশে অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় ইটভাটার চিম্নি ও চুল্লী পরিবর্তন করেও লাভ হয়নি। তিনি আরো বলেন একবার ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর আবার সেগুলো সংস্কার করে চালু করা হয়েছে। যেকোন সময় আবারও অভিযান চলতে পারে জেনেও ঝুঁকি নিয়ে ইটভাটা চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতর উপ পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম জানায়, খুব শিগগিরই সকল অনুমোদনহীন ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।