(কবিতা)
চোরের মানহানী মামলা
— মাইন উদ্দিন আহমেদ
বললো দেশ থেকে আমাদের বন্ধু নসীবুল্লা,
আছে সে খুবই টেনশনে,
যে সমস্যা খেয়ে ফেলেছিলো তার পিতাকেও
যিনি তখন ছিলেন পেনশনে।
কিছুদিন আগে নসীবের বাসায় হয়েছিলো চুরি,
টাকা-পয়সা গয়না-গাটি উধাও সব,
এমনকি একটা টিন ভেতরে ছিলো মুড়ি।
নসীব করেছিলো যথাস্হানে নালিশ
এর বদলে সে অবশ্য পায়নি বালিশ
লক্ষণে মনে হয় মিলবে পালিশ–
কাহিনী চলে যাচ্ছে নসীবের বিরুদ্ধে
ওর বাপ নামতোনা এসব যুদ্ধে
বলতেন তিনি চলছে এখন কলিকাল
চোরে চুলকায় গেরস্হের গাল।
হয়ে গিয়েছিলেন তিনি প্যারালাইজড
ডাক্তার কর্তৃক যা হয়নি এনালাইজড–
দীর্ঘ সময় শায়িত থেকে গেলেন তিনি মরে,
নসীবের মনে হলো
বিধাতা নিয়েছেন তাঁরে দয়া করে।
নসীবের অবস্হাও এখন তাই,
আল্লার দয়া ছাড়া উপায় নাই–
চোর বলছে, নসীব তারে ডেকে নিয়ে
উপহার দিয়েছিলো বস্তু সব,
এখন করছে অবাক করা কলরব!
চোরের বউ বলে নসীব ভাই ভালো,
তিনি খুব দানশীল মনে অনেক আলো;
ওনারে যে নালিশ করার বুদ্ধি দিলো কে,
মোটেই ওনার ভালো চায়না সে।
চোর বলছে তার একটাই পথ,
মানহানি মামলা করার শপথ।
সমাজের সব যন্ত্রপাতি তার হাতে,
ওর পক্ষেই যাবে সবাই এক সাথে।
নসীব ফোনে বলে, দোস্ত, আমারে বাঁচা,
চোরের মামলায় জেলে যাবো–
বিশ্বাস কর এটা ঘটবে বলছি হাঁচা!