বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৬ বসতবাড়ী পুড়ে ছাই: ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক কোটি টাকা।
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৬ বসতবাড়ী পুড়ে ছাই: ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৯ নং ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের সবকিছু নি:শেষ হওয়ার পাশাপাশি আগুন নিভাতে গিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
১৭ ডিসেম্বর’২০ ইং, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় পুর্ববড়ঘোনার ৯নং ওয়ার্ডের জলদাস পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ভয়াবাহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। আগুন নিভাতে গিয়ে আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে যাদের ঘর পুড়ে গেছে তারা হলেন, হরিদাশ জলদাস, জ্যোতি বালা জলদাস, ঝুন্টু জলদাস, গোবিন্দ জলদাস, সত্যরঞ্জন জলদাস, চিত্তরঞ্জন জলদাস, চান্দু জলদাস, যুদ্ধ জলদাস, রাখাল জলদাস, নিত্যলাল জলদাস, অনিল জলদাস, সুনীল জলদাস, পরিমল জলদাস, সুজন জলদাস, রঞ্জন জলদাস, রতন জলদাস, সুমি জলদাস, সন্তোষ জলদাস, নিখীল জলদাস, চাইন্দ্যা জলদাস, হরিলাল জলদাস, দধিরাম জলদাস, রতন জলদাস, বাবুল জলদাস, সজল জলদাস ও কাজল জলদাস।
গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বাদশাহ বলেন, পূর্ব বড়ঘোনার জলদাস পাড়ার পুরুষ জেলেরা যখন মাছ ধরতে অনেকেই সাগরে ছিলেন, তখনিই জেলে পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো জলদাস পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে, এলাকার জনগনের নিরন্তর প্রচেস্টায়ও আগুনের দূরন্ত গতি থামানো যায়নি।
বাঁশখালী ফায়ার ব্রিগেডকে জানানো হলেও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতায় ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি পৌঁছার আগেই ২৬ টি বসতবাড়ী পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানা গেছে। এতে সন্তোষ দাশ নামের এক জেলে পরিবারের নগদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকাসহ অধিকাংশ পরিবারের নগদ টাকা, সংরক্ষিত শুটকি মাছ, ঘরের আসবাব পত্র, পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের কাপড়-চোপড় ও বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এলাকিবাসীরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সময় ১৪/১৫ জন আহত হয়েছে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার লিটন বৈষ্ণব জানান,খবর পেয়ে আমরা চাম্বল হয়ে বাংলা বাজার ব্রীজ পযর্ন্ত পৌছলেও দূর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়েছি। খবর পাওয়ার পর পর পর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের জন্য জরুরী খাবার ও রাত কাটানোর ছাউনিসহ জরুরীভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় ইউপিএম ও গন্ডামারা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা ও গন্ডামারা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফ উল্লাহ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।