ইউজিসির ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশীপ’র জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. মিল্টন বিশ্বাস।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পোস্ট ডক্টোরাল ফেলেশীপ ২০২০-২১ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। তিনি ‘‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু’’ বিষয় নিয়ে গবেষনা করবেন। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেন।
তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের তত্বাবধানে এই গবেষণা করবেন। এছাড়াও এই ফেলোশীপে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন সুলতানা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সারোয়ার আলম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আবু সায়েদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও’র সরকারী শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র রায় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রব্বানী এবং কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী।
চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশীপ প্রদানে লক্ষ্যে সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যাল (শুধুমাত্র স্থায়ী ক্যাম্পাস) এবং সরকারী কলেজের শিক্ষকগণের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহবান করেন ইউজিসি। এক বছরে সর্বাধিক ১০ জনকে ফেলোশীপ প্রদানের লক্ষে চলতি বছরের ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাকযোগে বা ইমেইলে প্রেরণ করার জন্য আহবান করেন।
এই ফেলোশীপে মনোনীত হওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, স্বাধীনতার মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা সাহিত্য সম্ভারকে আরো সমৃদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার পূর্বাপর বাংলা সাহিত্য এমন কোনো সাহিত্যিক জন্ম গ্রহণ করে নি যে, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে দু’কলম লিখেন নি। শুধু বাংলা সাহিত্যিক নয় চীনা, জাপানি, ইতালি, জার্মানি, সুইডেনী বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্যিকরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন শত শত গল্প, গান, কবিতা ,উপন্যাস ও প্রবন্ধ । তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার কথায়, লিখনীতে, ভাষণে, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের অনেক কবিতার কথা উদাহরণ দিতেন। এমন একটা সুন্দর কাজ করতে সুযোগ দেওয়ায় তিনি ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিধ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস একজন কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক ও কবি। জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি, খ্রিস্টান পরিবারে। ‘জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্যচিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার পর বর্তমানে ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং দেশের অন্যতম প্রধান লেখক। ‘শালোম ফাউন্ডেশন’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান এবং বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।