জেলার খবর

ছাতকে টিলা ধ্বংস করে মাটি বিক্রি, বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

ছাতকে টিলা ধ্বংস করে মাটি বিক্রি, বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করছে একটি মহল। একমাস ধরে পৌরসভার নোয়ারাই ও নোয়ারাই-ইসলামপুর এলাকার তিনটি বৃহৎ টিলা ধ্বংস করে এ মহলটি পাথর উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের বাঁধার মুখেও প্রভাবশালী চক্র দাপটের সঙ্গে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করছে। এ চক্রের টিলা কাটা ও মাটি বিক্রি এবং মাটি পরিবহনের কারণে

এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট ও রাস্তা-ঘাট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন ও মাটি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হলেও সরকারি নিষেধ-বাঁধা উপেক্ষা করে সরকারি টিলা কেটে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এখানে প্রতিদিন। নোয়ারাই-ইসলামপুর এলাকার বৃহৎ একটি টিলা মাটি বিক্রি করে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ টিলায় প্রায় ২০ টি পরিবারের বসবাস রয়েছে।

টিলার বাসিন্দারাই লোভে পড়ে পাথর উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাটি বিক্রির কারনে টিলাটি প্রায় ধ্বংসের পথে। আমির আলী নামের একজনকে পাথর উত্তোলন করতে পাওয়া গেলে তিনি জানান, এ টিলায় তার দখলে প্রায় ৩০ শতক ভূমি রয়েছে। তার অংশের অধিকাংশ ভূমির মাটি বিক্রি করা হয়েছে।

বিশাল গর্ত করে তিনি পাথর উত্তোলন করছেন। পাশে রয়েছে তার বসতঘর। গর্ত করে পাথর উত্তোলন করার ফলে তার বসতঘরটিও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টিলার আরেক পাশে দেখা গেলো টিলা কেটে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আশপাশ এলাকার বিভিন্ন প্লট ও জমি ভরাট কাজে এসব মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে লাফার্জ-হোলসিম কারখানায় মাটি বিক্রি করার জন্য বড় টিলার মাটি কম দামে ক্রয় করে নিজেদের জমিতে রেখে দিচ্ছে একটি মহল।

এদিকে নোয়ারাই এলাকার গাজীর মোকাম টিলা ও আব্দুস সোবহানের টিলা থেকে প্রতিদিনই ট্রাক ভর্তি করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট সহ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এইসব এলাকার ঐতিহ্যবাহী টিলাগুলো। স্থানীয় একাধিক লোক জানিয়েছেন, টিলাগুলোর মধ্যে মালিকানা ও সরকারি টিলা রয়েছে।

গত কিছুদিন ধরে প্রতিনিয়ত টিলা কেটে মাটি ও পাথর বিক্রি চলছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন কাজে পাহাড়-টিলা কাটার কোনো সুযোগ নেই। এটি অবশ্যই দণ্ডণীয় অপরাধ। যারা এসব কাজে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button