ময়মনসিংহে চাচাতো বোনকে বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে মুচলেকা দিলেন চেয়ারম্যান।
মোঃ আজাহার সরকার, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহে চাচাতো বোনকে বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে মুচলেকা দিলেন চেয়ারম্যান।।
ময়মনসিংহ সদরে নিজের চাচাতো বোন কে বাল্য বিবাহ দিতে গিয়ে মুছলেকা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদীর নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়োজিত সমাজসেবক টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
১৫ই নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই পণঘাগড়ায় এলাকায় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার সোহেলের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদীর নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সমাজসেবকটিমের সদস্যরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাল্যবিবাহের শিকার সেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণী পিংকী ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার সোহেলের আপন চাচাতো বোন। পিংকী ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেলের চাচা মৃত মুজিবর রহমানের মেয়ে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদি জানায়-রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের পণ ঘাগড়া এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারের বাড়িতে পিংকি নামের এক অপ্রাপ্ত বয়সের তরুণীকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় গোপনে বাল্য বিবাহ দিচ্ছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে সেখানে সমাজ সেবক টীমের আওতায় নিয়োজিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ টিমের সদস্যদের প্রেরণ করা হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক সেই পিংকি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেলের চাচাতো বোন। পরে আমাদের টিম সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান ও পিংকির মায়ের হাতের মুছলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে পিংকিকে বাল্যবিবাহের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করে। তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে সর্বস্তরের জনতাকে আহবান জানান।
এদিকে একটা ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে যেখানে একজন চেয়ারম্যান মুখ্য ভূমিকা নিয়ে কাজ করার কথা, সেখানে চেয়ারম্যান নিজেই তার বোনকে বিয়ে দিয়ে বাল্যবিবাহের পিড়িতে বসানোর খবরে বিভিন্ন মহলে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আলোচনা-সমালোচনা চলছে- যেখানে চেয়ারম্যান নিজেই সচেতন নয় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চলছে সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে সচেতন হবেন আর সরকারি নির্দেশনা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে।