পাইকগাছার দেবদুয়ারে “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র” দীর্ঘদিন পর চালুর উদ্যোগ।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছার দেবদুয়ারে “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র” দীর্ঘদিন পর চালুর উদ্যোগ।
পাইকগাছার চাঁদখালী ইউপির দেবদুয়ার (শেখপাড়া) গ্রামের কৃতি সন্তান শেখ হায়দার আলী এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে তৎকালীন সরকারের অনুদানে দেবদুয়ার শেখপাড়ায় দুই একর জমির উপর ২ তলা বিশিষ্ট “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি” ১৯৬৮ সালে স্থাপন করেন। দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি পুনঃরায় অত্র এলাকার গণমানুষের সেবা কেন্দ্র হিসাবে চালু হতে যাচ্ছে।
নতুন ভবন সহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত লোকবল দিয়ে আধুনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পোঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুল হক খানের নেতৃত্বে উক্ত কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল আলিম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক জনাব মোঃ কবির আহম্মেদ ও অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাবিবুল হক খান উক্ত কেন্দ্রে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পোঁছে দেয়া। এ লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে ” মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি” নতুন করে চালু করতে পারলে অত্র এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে আর দূরে যেতে হবে না।
এ প্রসঙ্গে অত্র এলাকার শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি পুনঃরায় চালু হলে এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবায় উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, আজ যে নতুন করে হাসপাতালটি সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে তার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন অত্র এলাকার কৃতি সন্তান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও পাইকগাছার আরেক কৃতি সন্তান স্বনামধন্য চিকিৎসক বি,এম,এ দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্যার বরাবর আবেদন করলে তিনি সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কে চিঠি দেন এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির উন্নয়নের কাজে গতি ফিরে আনেন। এরজন্য আমরা এলাকা বাসী জনপ্রশাসন সচিব মহোদয়ের উপর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।