পাইকগাছায় জমির দখল বুঝে পেলেও উচ্ছেদ প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষদের।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছায় জমির দখল বুঝে পেলেও উচ্ছেদ প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষদের।
খুলনার পাইকগাছায় জেলা পরিষদ সদস্য নাহার আক্তারের ক্রয়কৃত জমি বুঝে পেলেও উচ্ছেদ প্রচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ সাত্তার গোলদার।
ইতোমধ্যে জমির উপর নির্মিত দোকানঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ পরবর্তী জোর পুর্বক জমির উপরে দোকানঘর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দোকানঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের পর দখল প্রশ্নে শঙ্কিত জেলা পরিষদ সদস্য নাহার ও তার পরিবার। এমতাবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, ঐ জমির মুল মালিক সবুর গোলদার বিগত ০৯/১২/০৪ তারিখে পুত্র আলতাফ হোসেন গোলদার, আতাউর রহমান গোলদার টুটুল ও ভাগনে নজরুল ইসলাম জোয়াদ্দার কে দানপত্র মুলে উক্ত ৪৭৫ দাগের সম্পত্তি হস্তান্তর করেন। এরপর ভাগনে নজরুল ইসলাম উক্ত জমির মিউটেশন করে রেকর্ড প্রস্তুত করেন।
যাহার নামজারী কেস নং(। ×-।)/২০১৮-১৯। যাহা গত ২৯/১১/১৮ তারিখ আদেশে উজির আলী গোলদারের নাম ও অংশ হতে কর্তন পুর্বক নজরুল ইসলাম জোয়াদ্দারের নামে আরএস ৯৬ খতিয়ানের ৪৭৫ দাগের মধ্যে ০.০১৬৬ শতক জমির রেকর্ড প্রস্তুত হয়। উক্ত জমি পরবর্তীতে জেলা পরিষদ সদস্য নাহার আক্তারের নিকট হস্তান্তর করে দখল বুঝিয়ে দেন নজরুল জোয়ার্দার। এরপর থেকে প্রতিপক্ষ সাত্তার বিরোধ করে আসছে।
জেলা পরিষদ সদস্য নাহার আক্তারের দলিলের চৌহাদী ব্যাতিরেকে মুল পজিশান বাদদিয়ে পিছনের অংশে দেয়ার পায়তারা করে এ ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায় সাত্তাররা।
নাহার জানায়, আমি সম্প্রতি একটি পা হারিয়েছি। প্রতিবন্ধী হয়ে কোন রকম মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ অবস্থায় আমার দখলীয় জমিটি অবৈধ উপায়ে দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জানাগেছে, বিবাদমান জমিটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা রয়েছে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে আইল সীমানা নির্ধারণের পিলার, সাইনবোর্ড ও সর্বশেষ ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।