জেলার খবর

সরাইলে শিশু অপহরণ মামলা সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মাতা নার্গিস বেগম।

মোঃ আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি-(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

সরাইলে শিশু অপহরণ মামলা সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মাতা নার্গিস বেগম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশু অপহরণ মামলার সুবিচারের দাবীতে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিশু পহেলা সালিনা আক্তার নুরাইয়া নুসরাতের মাতা নার্গিস আক্তার।

উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের শফিকের স্ত্রী নার্গিস আক্তার রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার মেয়ে পহেলা শালিনা আক্তার নুরাইয়া নুসরাতকে ১৯ মাস বয়সে চিকিৎসার কথা বলে আমার স্বামী শফিক কৌশলে অজ্ঞাতস্থানে লুকাইয়া রাখে। মেয়েটিকে অপহরণ গুম, হত্যা করতে পারে বলে আমি ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করি।

আমার স্বামী ২য় বিবাহ করিলে আমাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।

আমার স্বামী শফিক কৌশলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য অরুয়াইলের সাহের উদ্দিন, আমার মা মাজেদা বেগম ও আমার ভাই আমির হোসনকে নিয়ে আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

আমার মেয়ের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুুঁজি করতে থাকি। গত কুরবানী ঈদের পর কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ শিশু পহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধ্যান দেয়। পরে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা, চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। বাবুল ও আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসার জন্য আটক করা হয়।

বাবুল ও আব্দুল্লাহর নিকট থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে দেড় বছরের শিশু পহেলা শালিনা আক্তারকে নৌকার মাঝি আব্দুল্লাহর স্ত্রী পিঠা বিক্রেতা রিনু বেগমের নিকট, পরে রহিম ও আলামিন পিঠা চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট ৪০০ টাকা ষ্টামে শিশুটিকে বিক্রয় করে দেয়। বাবুল তার শুশুর বাড়িতে পাটিয়ে দেয়। পরে বাবুল আশুগঞ্জ থেকে নিজ গ্রামে অষ্টগ্রামের আলীনগর চলে যায় ঐখানে গিয়ে বাবুল আবার পিঠা ও চা বিক্রয় শুরু করে শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা ব্যাবসা শুরু করে। দীর্ঘ চার বছর পর আব্দুল্লাহর স্ত্রী রিনু বেগম জটিল রোগে আক্রন্ত হয়ে তার স্বামীকে দিয়ে ভাল কাজ করার মানসে শিশু পহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধান দেয়।

সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা ও চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশু পহেলা শালিনা আক্তারকে উদ্ধার করি। ডিএনএ পরিক্ষার জন্য পিতা ও মাতা কে বলা হলে পিতা শফিক ডিএনএ পরিক্ষা করতে রাজি না হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে ডিএনএ করার জন্য আবেদন করা হলে পিতা শফিক ডিএনএ পরিক্ষার জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করে সময় নিয়েছে।

শিশু পহেলা শালিনা আক্তারকে চট্টগ্রাম রৌফাবাদ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ তত্ত্বাবদায়কের হেফাজতে রয়েছেন। উক্ত অপহরণ মামলার সুবিচারের দাবী করেন শিশুর মাতা নার্গিস বেগম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button