পাইকগাছায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিক্রি না করায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকার ও উপকারভোগী।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিক্রি না করায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকার ও উপকারভোগী।
খুলনার পাইকগাছায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিক্রি না করায় সরকার ও উপকারভোগীরা লাখলাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অপরদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উপকারভোগীরা। উপায়ন্তর না পেয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে বলে উপকারভোগীরা জানিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হরিটালী ইউনিয়নের ৯ কিলোমিটার বিভিন্ন সড়কে বন বিভাগের উদ্যোগে ৩৩০ জন উপকারভোগী সদস্যরা রাস্তার দু’ধার দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেন। ২০০০ ও ২০০১ সালে এসব গাছের চারা রোপন করা হয়। যা এখন সবই কর্তন উপযোগী বলে হরিঢালী কে.এস.এস লিঃ এর সভাপতি মুন্সী সিফায়েত হোসেন জানান।
গত ঘূর্ণিঝড় ফনি, আম্পান ও বুলবুলির তান্ডবে অসংখ্যা গাছ রাস্তার উপর ও পার্শ্ববর্তী জমিতে ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ। দুর্ভোগ এড়াতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষন করে রেখেছেন।
কিন্তু উল্লেখিত গাছের কোন সুরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে সমিতির সম্পাদক শেখ লিটন বলেন, সংরক্ষনে রাখা ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিক্রি না করায় সমস্তটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকার ও উপকারভোগীদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যপারে কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, আবেদন পেয়েছি অবগত করার জন্য বন কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মিটিং করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন বিভাগের কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় জানান, প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ সংরক্ষন করা হলেও রোদ বৃষ্টিতে প্রায় সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, দ্রুত বিক্রি করার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।