জেলার খবর

চন্দ্রগঞ্জে শিশু কন্যা রাহিমা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাট

লক্ষিপূর জেলা সংবাদদাতাঃ

চন্দ্রগঞ্জে শিশুকন্যা রাহিমা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ফেসবুক থেকে জানা যায়, নিম্নে পুলিশের ভাষ্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
অত্র জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার ড. এ. এইচ এম কামরুজ্জামান(পিপিএম-সেবা) মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় শিশুকন্যা রাহিমা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। ইং-০৫/০৫/২০২০ইং তারিখ যখন শিশু কন্যা রাহিমা হারিয়ে যায় মর্মে থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। তখন আমি অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন আমার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ আজিজুল ইসলাম সহ অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে নিয়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিপূর্ণভাবে পরিদর্শন করি। সাক্ষ্য-প্রমান সংগ্রহের চেষ্টা করি। হারিয়ে যাওয়া শিশু কন্যা রাহিমার আইনগত দিক আমলে নেওয়ার জন্য পিতা-মাতাকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। কিন্তু তাহারা কোন মামলা মোকদ্দোমা দায়ের না করায় সনর্দেহ গনিভূত হয়। ইং-০৯/৫/২০২০ইং তারিখ ভোর ০৭.০০ ঘটিকার সময় হারিয়ে যাওয়া শিশু কন্যা রাহিমার মৃতদেহ তাদের বসত বাড়ীর টয়লেটের রিং টাংকির ভিতর আছে বলিয়া জানাইলে তাৎক্ষনিকভাবে আমি ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) এবং মোবাইলটিম ঘটনাস্থলে হাজির হই। লক্ষ্মীপুর জেলার সদর সার্কেল মহোদয় ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শিশু কন্যা রাহিমার মৃতদেহ টয়লেটের রিং টাংকির ভিতর হইতে উত্তোলন পূর্বক সুরহতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া মর্গে প্রেরণ করা হয়। ভিকটিম রাহিমার মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামী উল্লেখ করিয়া মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এর উপর তদন্তভার অর্পন করা হয় এবং সহযোগী একটি টিম তৈরি করা হয়। মামলা দায়ের এর পর মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতিনিয়ত দিক-নির্দেশনায় আমার সার্বিক তত্তাবধানে তদন্তকারী টিমের একান্ত প্রচেষ্টায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়। ভিকটিম রাহিমার পিতা ঘাতক ফয়েজ আহাম্মদ প্রকাশ মনু(৪৫) নিজ কতিপয় প্রতিবেশীকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে নিজ কন্যা রাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ধান ক্ষেতের ঝোপের ভিতর রাখে পরবর্তীতে ইং-০৮/০৫/২০২০ইং তারিখ রাতে ঘাতক এর বসত ঘরের পাশে টয়লেটের রিং টাংকির ভিতর ফেলে দেয়। এই সংক্রান্তে ঘাতক ফয়েজ আহাম্মদ মনু নিজেকে জড়াইয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী জেল হাজতে।
এহেন কর্মকান্ড একদম কাম্যনয়। আপনারা যে যেখানে থাকেন সু-শৃংখলভাবে জীবন-যাপন করুন। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button