জেলার খবর

শিশু – মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর জালকুঁড়ি শাখায় প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ আসেনি কোনো ডাঃ

সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)

শিশু – মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর জালকুঁড়ি শাখায় প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ আসেনি কোনো ডাঃ

শিশু – মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর জালকুঁড়ি শাখায় প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বর্হিবিভাগের চিকিৎসা সেবা। দীর্ঘদিন তাদের প্রধান কার্যালয় মাতুয়াইল থেকে ডাক্তার এসে প্রতিদিন ২ ঘন্টা রোগী দেখলেও করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আসেননি কোন চিকিৎসক। তবে একই ভবনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে নিয়মিত। করোনার মাঝেও গর্ভবতী মা, শিশু ও কিশোরীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জালকুঁড়ির এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি মূলত জাপান সরকারের সহায়তায় জিরো পপুলেশন গ্রোথ প্রজেক্ট চলাকালে স্থানীয়রা প্রায় ৮ বিঘা জায়গা দান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা চালু করার জন্য অনুরোধ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়। সেই থেকেই জালকুঁড়িতে নিয়মিত ভাবে কাজ করে আসছেন তারা। মাঝে মাতুয়াইল শিশু – মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সংস্কার চলাকালে তারা সেবা চালিয়ে নিতে জালকুড়ি অস্থায়ী ভাবে জায়গা নেন। কিন্তু সংস্কার শেষে তারা ফিরে না গিয়ে ভবনের কয়েকটি কক্ষে তাদের শাখা সেবা চালিয়ে যেতে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একাধিকবার ভবনটি পরিবার পরিকল্পনার নিকট ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হলেও তারা হাসপাতালটি হস্তান্তর করেনি। এ নিয়ে দুই অধিদপ্তরের টানাপোড়েন এখনও অব্যহত রয়েছে। যার কারনে কোনটিরই সেবা পূর্নাঙ্গ ভাবে পাচ্ছেনা স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরজমিনে জালকুঁড়ির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা মেলে অভিযোগের বাস্তব চিত্র। বহির্বিভাগের দরজায় ঝুলছে তালা। টিকিট কাউন্টারেরও একই দশা। ফার্মেসীর অস্তিত্ব কেবল রুমেই সীমাবদ্ধ। শোনা যায়, দায়িত্ব প্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। করোনার শুরু থেকেই কোন ডাক্তার না আসায় কোন সেবা গ্রহীতারও দেখা নেই হাসপাতালে। একরকম সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে পুরো ভবন জুড়ে।

ভবনের বাইরে স্থানীয় দোকানি আফসার আলম বলেন, এখানে আগে আমাদের ঘরের মা বোনেরা চিকিৎসা নিতে আসতো। এখন তো করোনার সময় মাতুয়াইল থেকে ডাক্তাররা আসেনা। আর যখন আসতো তখনও কোন ঔষধ দিতো না। যা ট্রিটমেন্ট দিত, তার চাইতে পরিবার পরিকল্পনার ম্যাডাম গো কাছে ভালো চিকিৎসা পায় সবাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) নজরুল ইসলাম বলেন, মূলত এখানে দুইটি অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীন ঝামেলার কারনে পূর্নাঙ্গ সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের মাতুয়াইল থেকে ডাক্তার সেখানে গিয়ে চিকিৎসা দিত। কিন্তু করোনার কারনে আমাদের প্রধান কার্যালয়েই ডাক্তারদের সংকট দেখা দিয়েছে। কারন তারা নিজেরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া জালকুঁড়ি শাখা পরিচালনার জন্য বাড়তি কোন লোকবল আমাদের নেই। আর সে কারনেই করোনায় চিকিৎসা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button