মনিরামপুর অবহেলিত রাস্তা নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করলেন! জাতীয়পার্টির নেতা তবিবর।
আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)
মনিরামপুর অবহেলিত রাস্তা নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করলেন! জাতীয়পার্টির নেতা তবিবর।
বর্ষা মৌসুম এলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসী।সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি হাটু কাঁদায় পরিণত হয়
প্রতিদিন কর্দমাক্ত পথটি পাড়ি দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার হাজার হাজার মানুষকে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে
রাস্তাটি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে।
বর্ষা মৌসুমে যে কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটার কথা শুনলে চোখে পানি আসে পথচারীদের।
যেই কাঁদার স্থানে আসলে পার হওয়ার সময় খানিক দাঁড়িয়ে ভাবেন পথিক;কিভাবে পার হওয়া যায়।
সেই কর্দমাক্ত রাস্তায় পথচারীদের ভোগান্তি কমাতে মানব সেবাই এগিয়ে আসলেন তবিবর রহমান জাতীয়পার্টির নেতা
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার (০৯ও১০ জুলাই)দুই দিন ব্যাপি নিজ অর্থায়নে তিনি টলি ভর্তি বালু এনে নিজ হাতে রাস্তার কাঁদা সরিয়ে সুন্দর করে বালু বিছিয়ে দেন।
তার এই মহতি কাজে স্থানীয় অনেকেই নিজ থেকেই অংশগ্রহণ করে।
মণিরামপুর উপজেলার ০১নং রোহিতা ইউনিয়ের ০৩ নং ওয়ার্ডের এড়েন্দা গ্রামের একটি রাস্তা কাঁদা নিরাময় করতে এমন উদ্যোগ নেয় তবিবার।
তবিবার উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে।
সে ইউনিয়ন জাতীয়পার্টি ও উপজেলা কৃষকপার্টির সভাপতি।
নিজ উদ্যোগে এমন মহতি কাজ করার কারন জানতে চাইলে তবিবার বলেন,রাস্তাটি আমার নিজ এলাকার,একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বহুবছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর থাকলেও জনপ্রতিনিধি বা সমাজপতিদের কেউ এগিয়ে আসেননি।
তাই আমি আমার নিজ উদ্যোগ ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে রাস্তায় বালু দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এই কাজটি করেছি।
নাম ছড়ানোর জন্য নয়,শুধু জনগণের কথা ভেবে আমি রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
এরআগেও তিনি অনেক জনসেবামুলক কাজ করেছেন।কৃষকদের তৃষ্ণা মেটাতে তিনি তার নিজ অর্থায়নে ফসলী মাঠে টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন।
রেখেছেন পানী পান করার জন্য পাত্র ও সেচের জন্য প্রজনীয় পাত্র।
স্থানীয় ভ্যান চালক ইকবাল বলেন, বর্ষার সময় এই রাস্তায় ভ্যান পার করতে আমার খুব কষ্ট হয়। রাস্তায় বালু দেওয়ার কারনে এবার কষ্ট কিছুটা কমবে।
সেচ্ছাসেবী সংগঠন”ঐক্য-বন্ধন”র সভাপতি ও কলেজ ছাত্র মাহামুদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বহু শিক্ষার্থী স্কুল কলেজে যাতায়াত করে।
বৃষ্টির সময় আসলে প্রায়ই বইখাতা নিয়ে আমাদের কাঁদায় পড়তে হয়েছে।
এবার রাস্তায় বালু দেওয়ার কারনে কিছুটা হলেও সস্তি মিলবে।