মনিরামপুরে অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)
মনিরামপুরে অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
যশোরের মনিরামপুরে সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সামাজিক উন্নয়ন সংঘ”র উদ্দ্যোগে করোনায় কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে
করোনার প্রথম থেকে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।সংগঠনের সভাপতি এম এম রায়হান আহম্মদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাবিয়া রহমানের পরিচালনায় শনিবার(১১/০৭/২০২০)বিকালে উপজেলার মাছনা গ্রামে ৬০টি পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি যেয়ে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন,সহসভাপতি আবু হুরাইরা,সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শান্ত,ক্যাশিয়ার সুকদেব কুমার পাল,সন্জিব কুমার পাল,শাহিন আলম,জি,এম ইমরান,আবু বক্কর সিদ্দীক রিয়াদ,নাঈম হোসেন,আবু মুছা,রাজিব হোসেন,শাহিন হোসেন,ডাঃসোহাগ,ডাঃরানা,ফুটবলার রানা হোসেন,তরিকুল ইসলাম,সোহাগ হোসেন,
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যখন ঘর বন্দি,পারছে না সঠিক ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে।ফলে দারিদ্র পরিবার গুলো পড়েছে চরম বিপর্যয়ে।
ঠিক সেই মুহূর্তে মনিরামপুরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সামাজিক উন্নয়ন সংঘ” অসহায় দারিদ্র পরিবারের মাঝে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।
করোনার প্রথম দিক থেকে শুরু করে তারা উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ০৯টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে মোট ২২০ পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে।উক্ত খাদ্যসামগ্রীর মধ্য প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিলো,২কেজি চাউল,১কেজি আঁটা,১কেজি আলু ও ৫০০গ্রাম ডাউল।
সভাপতি রয়হান হোসেন বলেন,খাদ্যসামগ্রী বিতরণে আমরা ওছিলা মাত্র,সব কিছু মহান আল্লাহর রাজিখুশি।নিশ্চয় তিনি আমাদের এই মহৎ উদ্যোগে সন্তুষ্টি হয়েছেন বলে আমরা সামান্য হলেও মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছি।
সাধারণ সম্পাদক মাবিয়া রহমান সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন কে জানান, আমাদের সংগঠন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন,এটা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্টি নয়।
আমরা সর্বদা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে থাকি।তিনি আরো বলেন,আমাদের সংগঠনের সবাই ছাত্র ও বেকার।
আমরা নিজেদের অর্থায়নে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি, যদি কেউ সেচ্ছায় আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে সেটা আমাদের বড় পাওয়া বলে মনেকরি।
শুধু এই নয়,,,মানবসেবাই আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে রক্তদান করি।
কোন দারিদ্র পরিবারের সন্তান যদি টাকার অভাবে বই পুস্তক বা টিউশন ফি না দিতে পারে তাহলে তাদেরকে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি।
এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী।