লক্ষ্মীপুরের জেলা পরিষদের সম্পতি দখলের চেষ্টা
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের জমি অবৈধ দখল ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ। রোববার বেলা ১১ টায় লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মো.শাহাজাহান।
জেলা পরিষদের প্রশাসক বলেন, জেলা পরিষদ একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জেলা পরিষদের মালিকীয় জমি এক বছরের জন্য ইজারা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ক্রমে জেলার উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল জেলা পরিষদের দীর্ঘদিনের সুনামক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তফসিল ভূমির কিছু অংশে পূর্ব হতেই জেলা পরিষদ টিনের বেড়া যুক্ত টিনসেট ঘর রয়েছে এবং বিভিন্ন অংশের ভূমি জেলা পরিষদ পূর্বহতেই ইজারা প্রদানের মাধ্যমে জেলা পরিষদ দখল করিরা আসিতেছে। জেলা পরিষদের টিনসেট ঘর এবং ইজারাদারের দোকান ঘরের চাল ও বেড়ার টিন মেরামতের কাজ শুরু করলে রাসেল, সহেল, নুরুল ইসলাম, সবুজ, স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, সাদনান সহ আরো ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে জেলা পরিষদের স্থাপনা ও ইজারদারের দোকানঘর ভাংচুর করে পূর্বেই জেলা পরিষদের স্থাপিত ২টি সাইনবোর্ড ভাংচুর করে এবং উপস্থিত জেলা পরিষদের স্টাফ ও ইজারাদারদের মারধর করে।
তিনি বলেন, ১৯৪২ইং সনে ডিষ্ট্রিক বোর্ডের ভূমি নবদ্বীপকে সাবকবলা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ডিষ্ট্রিক বোর্ড সরকারের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিত কোন স্থাবর সম্পতি হস্তান্তর করতে পারে না। ব্যাক্তিগনের দাবিকৃত নিলামের বিষয়টি সম্পৃর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। নিলাম সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র তারা উপস্থাপন করতে পারেনি। কোন জমি নিলাম হলে সাব কবলা দলিল হয়না তাদের উপস্থাপিত দলিলে ডিষ্ট্রিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের কোন সীল/ স্বাক্ষর নাই। তদের খাজনা পরিশোধের বিষয়টিও বিভ্রান্তিকর, পি,এস মৌজা ম্যাপের ০৩নং সীটের সর্বশেষ দাগ নম্বর ৮৮৩০ কিন্তু তাদের প্রদর্শিত দাগ ৯৩/৮৮৩৩ ও ৮৮৩৩ যা মৌজা ম্যাপে চিহ্নিত নাই। জেলা পরিষদের মালিকীয়, সি এস – ৪৩১৮,৪৩১৯,৪৩২০, পি এস- ৮৪৯০/ ঞ দাগের ভূমি আর ৯৩/৮৮৩৩,৮৮৩৩ দাগের ভূমি এক নয়।
মিথ্যা বিভ্রান্তি ও অপ-প্রচারে বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মো.শাহাজাহান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, জেলার কমরত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ