বাজারে দ্রব্যমূল্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের নানান প্রচেষ্টার পরও বাম দলের ডাকা হরতালে ভাঙচুর, জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে নাশকতার সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে হরতাল, ধর্মঘট রাজনৈতিক দলগুলোর চর্চার মধ্যে পড়ে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দিবে। তারে কর্মসূচিতে কোনো ভাঙচুর, জনগণের দুর্ভোগ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করবে না। কিন্তু কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাঙচুর করে অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করব তারা সহনশীলতার পরিচয় দিবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধনে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নগরীর সিএমপি পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে সিমএপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনের নেতা, স্থানীয় সাংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের আসার আগের বছরে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এর কাছে এমন কোনো তথ্য আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। নির্বাচনে যাতে আসতে না হয়। জনগণের ভোট ছাড়াই অন্যভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য তারা নানান কৌশল নিয়ে থাকে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভরসায় চলে। জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করে। জনগণের শক্তি আর ভরসায় রাজনীতি করে।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।