আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলীর হাতে বাংলাদেশি এনআইডি
নিষিদ্ধঘোষিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসাপ্রধান আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলীর কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনির ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহ আলীর কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। যার নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪১২০০০০০১৮। ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে দেওয়ান বাজার জয়নব কলোনি, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-চট্টগ্রাম।
প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সে ওই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো আবেদন এখনও করা হয়নি বলে জানান কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
রোববার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে শাহ আলীকে আটক করে এপিবিএন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, একটি বড় আকারের ছোরা ও এক হাজার ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ১ লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একাধিক আইনে তিনটি মামলা হয়েছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ।
তিনি বলেন, শাহ আলীর বিরুদ্ধে রোববার রাতে মোহাম্মদ সালেহ নামের এক যুবক বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় একটি, ১৪ এপিবিএন-এর এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলী এবং একই ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইর।
ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ আরও বলেন, শাহ আলী এর আগে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলায় তিনি হাইকোর্টের জামিনে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম বলেন, তথ্য গোপন করে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যবস্থাও নেয়া হবে।