লাদাখের সংঘর্ষের পর পারস্পারিক আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সীমান্তে যুদ্ধের আওয়াজ শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন যেখানে বাঙ্কার বানাচ্ছে, ভারত সেখানে টি৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করছে। ওই ট্যাঙ্কের শক্তি বিশ্বের অন্যান্য সকল ট্যাঙ্কের চেয়ে বেশি। চীনকে মোক্ষম জবাব দিতে এই ট্যাঙ্ক ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শক্তি যোগাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন সামরিক জার্নালের মতে, স্থল যুদ্ধে ভারতের অন্যতম হাতিয়ার টি৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল অস্ত্র বহন করতে পারে এটি। রাশিয়ায় তৈরি এই ট্যাঙ্ক মিনিটে আটটি শেল নিক্ষেপ করতে পারে। মাত্র ৪৮ টনের এই ট্যাঙ্ক মিসাইল যুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী।
এক হাজার হর্স পাওয়ার ইঞ্জিনের এই ট্যাঙ্কের গতি ঘণ্টায় ৭২কিলোমিটার। একবারে ৫৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে ভীষ্ম। উল্লেখ্য, ভারতের কাছে চীনের থেকে বেশি ট্যাংক রয়েছে। ভারতের ট্যাংক সংখ্যা যেখানে চার হাজার ২৯২টি, চীনের সেখানে সাড়ে তিন হাজার। আর সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ালে ট্যাঙ্কের গুরুত্ব যথেষ্ট বাড়তেও পারে।
ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরে টানা সাত দিন ‘স্ট্যান্ড অফ’-এর পর অবশেষে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছে চীনা সেনা৷
এক বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব লাদাখের চুশুল এলাকার মলডো অঞ্চলে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যেখানে পূর্ব লাদাখের সংঘর্ষের এলাকাগুলো থেকে সেনার ডিসএনগেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও চীন দু’দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনের কাজ করবে৷