বগুড়ায় অসহায় সেই শিশুর ঠাঁই হলো শিক্ষক দম্পতির
কোলে
বগুড়ার ধুনটে অসহায় সেই (পুত্র) শিশুটির দ্বায় দ্বায়িত্ব নিলেন একজন শিক্ষিক দম্পতি। ওই শিশুটি একটি বাঁশ বাগানে পৃথিবীর আলো দেখেন। বিষয়টি জানতে পেরে আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে সেই জন্ম নেওয়া নবজাতকে কোলে তুলে নিলেন শফিকুল ইসলাম ও নুরুন্নাহার নামে এক শিক্ষক দম্পতি।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের কোলে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষক দম্পতির বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কৃষ্ণ গোবিন্দপুর গ্রামে।এর আগে শুক্রবার শিশুটির দায়িত্ব নিতে উপজেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে আবেদন করেন শফিকুল ইসলাম। পরে ১০ সদস্যের শিশু কল্যাণ বোর্ড আবেদন যাচাই বাছাই শেষে শফিকুল ইসলাম দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়। পরবর্তীতে সন্তানটি দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।
৩০ অক্টোবর সকালে বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে একটি সন্তান প্রসব করেন এক মা। খবর পেয়ে মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলে।এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার একটি অটিস্টিক সন্তান আছে। তাই একটি সুস্থ সন্তানের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল।
শিশুটিকে দেখার পর দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড নবজাতকটিকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে আমাকে। পরবর্তীতে আদালতে আবেদন করে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি নবজাতক ও তার মায়ের পুরা ঠিকানা বের করার জন্য। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। তাই শিশুটিকে দেখভালের জন্য শিক্ষক দম্পতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
