বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ জন চিকিৎসক। এ ছাড়া, সাড়ে তিন হাজারের বেশী চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক এক হাজার ৯৭ জন, নার্স ৯৫৭ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এক হাজার ৪৬০ জন রয়েছেন। সোমবার (২২ জুন) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএমএ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছেন ১০৪ জন চিকিৎসক, মিটফোর্ডের ৫৬ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১০৩ জন, আজগর আলী হাসপাতালের ২১ জন, বিএসএমএমইউ’র ছয়জন, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের নয়জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ১১ জন, শিশু হাসপাতালের ছয়জন, জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের ১০ জন, নিউরো সার্জারি ইনস্টিটিউটের ১১ জন, অ্যাপোলো হাসপাতালের পাঁচজন, বারডেম হাসপাতালের সাতজন, ইউনিভার্সেল হাসপাতালের তিনজন, পঙ্গু হাসপাতালের নয়জন, কুর্মিটোলা হাসপাতালের ১৮ জন এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ১৭ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
করোনায় নিহত বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসক ডা. মহি উদ্দিন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার রাতে মারা যান চট্টগ্রামের প্রবীণ চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ডা. ললিত কুমার দত্ত। এছাড়া, করোনার উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান সরকারি সদর (জেনারেল) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এমদাদ উল্লাহ খান (৫৮)।