বাঁশখালীতে ১ দিনে ২৯ জন সহ করোনার ব্যাপক সংক্রমন: রেড জোন হলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি।
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি-ঃ
বাঁশখালীতে ১ দিনে ২৯ জন সহ করোনার ব্যাপক সংক্রমন: রেড জোন হলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলছে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। ১৯ জুন ৮ জন ব্যাংক ও এনজিও কর্মকর্তা সহ ১ দিনেই ২৯ জন নতুন করোনা শনাক্ত সহ ১৯ জুন পর্যন্ত মোট ১২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। হোম আইসোলেশনে আছেন ৬৬ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন, মৃত্যুবরন করেছেন ১জন। সরকারী তথ্যের এ রিপোর্টের বাহিরেও ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮/১০ মৃত্যুবরন করেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে।
১৪ ও ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলায় ৭৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ল্যাবে পাটানো হয়েছিল, ১৯ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে ৭৮ জনের মধ্যে ২৯ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। যার শতকরা হার ৩৮।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বাঁশখালীতে ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের বাঁশখালী উপজেলা শাখার ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার ও আনছার সদস্য সহ ৬ জন, চাম্বলে ৪ জন, ছনুয়াতে ৬ জন, শেখেরখীলে ২ জন, গুনাগরিতে ৩ জন, বৈলছড়ি চেচুরিয়াতে ৩ জন, পৌরসভার জলদীতে আশা ব্যাংকের দুইজন কর্মকর্তা সহ ৫ জন রয়েছেন।
এদিকে বাঁশখালী পৌরসভা, গুনাগরি, বৈলছড়ি,চাম্বল, গন্ডামারা, শেখেরখীলসহ প্রায় ৮/১০ টি ইউনিয়ন ইতিমধ্যে সংক্রমিত হওয়ায় বাঁশখালী উপজেলা রেডজোন ঘোষনা করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন গুরুত্বই পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। স্বাভাবিক ভাবেই চলছে হাট-বাজার, বিপনি-বিতান সহ সকল দোকানপাট, সামাজিক দুরুত্ব-শারিরীক দুরুত্ব মেনে চলার কোন প্রয়োজনই মনে করছেনা জনগন। ঘরের বাহিরে মাস্ক ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া প্রথাও অনেকাংশে থেমে গেছে। প্রশাসনিক তৎপরতাও স্থিমিতপ্রায়। উপজেলায় দিনদিন সংক্রমনের হার বৃদ্ধির উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে সংক্রমিত রোগী ও তাদের কন্টাক্টে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত নমুনা টেস্ট, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আগামী দ্রুত সময়ের মধ্যে সংক্রমন ব্যাপক আকার ধারন করতে পারে বলে উপজেলার সুশীল সমাজের অভিমত।